নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের ক্ষুদ্র মাছ চাষী ও স্থানীয় ভাবে মৎস্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসমূকে পরামর্শ সেবাসহ নানা আঙ্গিকে তথ্য মিলবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘রূপালি’ থেকে।

এ লক্ষ্যে কৃষি উপকরণ খাতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান এসিআই এগ্রিবিজনেস এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এসিআই সেন্টারে এসিআই এগ্রিবিজনেস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এফ এইচ আনসারী এবং ওয়ার্ল্ডফিশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটির চিফ অব পার্টি ড. ম্যালকম ডিকসন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক। এসিআই এবং ওয়ার্ল্ডফিশ যৌথভাবে এ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘রূপালি’ বাস্তবায়ন করবে।

এর ফলে দেশের ক্ষুদ্র মাছ চাষী ও স্থানীয় ভাবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন: মাছের খাদ্য বিক্রেতা, অ্যাকোয়া রাসায়নিক বিক্রেতা, হ্যাচারি মালিক, পুকুরের যান্ত্রিকীকরণ উপকরণ বিক্রেতা, মাছের পাইকারি বিক্রেতা, সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সম্প্রসারণ সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা এবং গবেষকরা মৎস্য চাষ ও অ্যাকোয়াকালচার সংক্রান্ত সামগ্রিক তথ্য সহায়তা পাবেন।

২০১৯ সালের দ্বিতীয় ভাগ থেকে মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট, খুদে বার্তা, আউট বাউন্ড ও ইনবাউন্ড কল সেন্টারের সহায়তায়‘রূপালি’প্লাটফর্মটি একজন মাছ চাষীর জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে, মাছ চাষের পরিকল্পনা থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সকল পরামর্শ প্রদান করা শুরু কর বে বলে জানিয়েছেন রূপালি প্রজেক্টের টিমলিডার ও এসিআই এগ্রি বিজনেসের জিএম শামীম মুরাদ।

এ প্রসঙ্গে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে এর মাধ্যমে মৎস্য চাষেও ডিজিটালাইজেশনের ছাপ লাগছে, যা দেশের মৎস্য খাতকে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি রূপালির মাধ্যমে মাছচাষীরা আরও অনেক সহজে উন্নত তথ্য সেবা পেয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।

ওয়ার্ল্ডফিশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ম্যালকম ডিকসন বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাছ চাষীদের সহায়তায় এসিআই নির্মিত ব্য রুপালি প্ল্যাটফরমের সাথে যুক্ত হতে পেরে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন এ্যাক্টিভিটি খুবই আনন্দিত।

সঠিক তথ্যের প্রাপ্য তা মৎস্য চাষীও এই ভ্যালু চেইনে যুক্ত সকল অ্যাক্টরদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসিআই’র পরামর্শদানকারী প্লাটফরম রূপালি, বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত দের জন্য প্রয়োজনীয় ও কার্যকর তথ্য প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আর এর মাধ্যমে এই সেক্টরের সাথে জড়িত ছোট-বড় সকলের টেকসই অর্নৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত কর সহজ হবে।

এসিআই এগ্রিবিজনেস এর এমডি এবং সিইও ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, কৃষকের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসাই এসিআই এগ্রিবিজনেস এর ব্যবসায়িক মূলমন্ত্র। এ লক্ষ্য পূরণে এসিআই ক্ষুদ্র মাছ চাষী ও তাঁদেরকে স্থানীয়ভাবে সেবাদাতাদের জন্য ডিজিটাল পরামর্শ সেবা নিয়ে আসতে যাচ্ছে।

আমরা আশাবাদী যে‘রূপালি’এর সাথে থেকে চাষীরা উৎপাদনশীলতা ও মুনাফা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। আমরা সব অংশীজনকে এই প্লাটফরমে যোগ দিতে আহবান জানাচ্ছি।

পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এসিআই প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও পরিবীক্ষণ,  অ্যাকোয়াকালচারের বৈশ্বিক উত্তম চর্চা সংক্রান্ত জ্ঞান ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করবে ওয়ার্ল্ডফিশ।

আমেরিকান দাতা সংস্থা ই্উএসএআইডি ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি এবং এসিআই এর যৌথ অর্থায়নে এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এ বছরের শুরুতে এসিআই ক্ষুদ্রায়তন ধান চাষীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়‘ফসলি’নামের আরেকটি প্লাটফর্ম। চলতি মওসুমে ৪,২০০টি কৃষক সংঘের সদস্য ১ লক্ষের বেশী কৃষক মোবাইল ফোনে ফসলির পরামর্শ অনুসরণ করে আমন ধান চাষ করেছেন এবং ফসল ঘরে তুলতে আরম্ভ করেছেন।