মাছ চাষে সফলতা অর্জনে

সৈয়দ সরোয়ার, তরুণ ফিসারিজ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ চাষে সফলতার অন্যতম ধাপ হসৈয়দ সরোয়ারলো সঠিকভাবে পুকুর প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে শুরুতে যে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে তাহলে পুকুরের মাটি নির্বাচন। আসুন জেনে নেয়া যাক মাছ চাষে সফলতা অর্জনে মাটির গুরুত্ব কতটুকু?

আমরা জানি মাটি তিন প্রকার তা হলো, এটেঁল মাটি, বেলে মাটি, দো-আঁশ মাটি। এই তিনটি মাটির মিশ্রণে আরো কিছু মাটি তৈরী হয়েছে যেমন। এটেঁল দো-আঁশ মাটি, পলি দো-আঁশ মাটি, বেলে দো-আঁশ মাটি।

মাছ চাষের জন্য উত্তম মাটি সমূহ:  (১) পলিযুক্ত দো-আঁশ মাটি মাছ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। (২) এটেঁল দো-আঁশ মাটি মাছ চাষের জন্য কম উপযোগী। (৩) বেলে মাটি মাছ চাষের জন্য একদম উপযোগী নয়। (৪) লাল মাটি মাছ চাষে খুবই ব্যয় বহুল।

মাটির কয়েকটি উপাদানের উপর নির্ভর করে, মাছের বাড়ন্ত ও স্বাদ যেমন: পিএইস, ফসফরাস, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, ও জৈব প্রদার্থ।

এসব উপাদান যদি সঠিক মাত্রায় রাখা যায়, মাছের ওজন ও স্বাদ দুটোতেই আশানুরূপ সফলতা আসবে। যে পুকুরে কোন ধরনের অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক কেমিক্যাল ও ঔষধ ব্যবহার না করে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখবে, সে পুকুরের মাছ খেতে খুব সূস্বাদু হবে।

সাধারণত পিএইস ৬ এর নিচে নেমে গেলে, মাটিতে অম্লত্ব বেড়ে গিয়ে ক্ষতিকারক মৌলিক প্রদার্থ দেখা দেয়।

আর পিএইস ৯ এর বেশি হলে অণুজীব গোষ্ঠী নিষ্ক্রিয় হয়ে ফসফরাসের সরবরাহ হ্রাস পায়, এতে উদ্ভিদ প্লান্কটনের উৎপাদন কমে যায়।

আরও পড়ুন: মাছ দেখে পুকুরের সমস্যা নির্ণয়ের কৌশল ও সমাধান

প্রতি ১০০ গ্রাম মাটিতে ১০-১৫ মি: গ্রা: ফসফেট ও ৮-১০ মি: গ্রা: নাইট্রোজেন থাকা দরকার। এতে সহজে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী হবে, ফলে সম্পুরক খাবার কম লাগবে।

তাই ইচ্ছে মত মাছ চাষ না করে মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে মাছ চাষ করি, সেই পুরনো দিনের মাছের স্বাদ আবার ফিরিয়ে আনি।

আসুন জেনে নেয়া যাক মাছ চাষে সফলতা অর্জনে মাটির গুরুত্ব কতটুকু? শিরোনামের লেখাটির লেখক: তরুণ মৎস্য চাষি ও উদ্যোক্তা সৈয়দ সরোয়ার।