মাছ চিংড়ির মাধ্যমে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ/চিংড়ির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি; এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটি এর গবেষণা পত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশে তেলাপিয়ার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের তথ্যটিও গুজব। এর ফলে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।

তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন চাষকৃত মাছ নিয়ে দেশে নানা ধরণের গুজব ও ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। আর এ কারণে লোকসান গুনছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের মাছ চাষিরা এবং কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বাজারে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তেলাপিয়া মাছ করোনা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি আছে’বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এতে এসব মাছ বিক্রি নিয়ে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।

তবে এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটির এক সাম্প্রতিক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, মাছ বা চিংড়ির মত জলজ প্রাণীর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের করোনা মহামারিতে কোন ভুমিকা রয়েছে বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিশ্বের নামকরা জলজ প্রাণীর স্বাস্থ্য (aquatic animal health), মাছ চাষ, খাদ্য নিরাপত্তা ও ভেটেরিনারি বিষয়ে একদল বিশেষজ্ঞ এ গবেষণা পত্রটি লিখেছেন।

আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড , সৌদি আরব, নরওয়ে, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়ার এসব বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও) এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। বিশ্ব জুড়ে অনেক ক্রেতা জীবন্ত প্রাণী ও সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে  করোনা ভাইরাস এসেছে বলে গুজব শুনে এসব পন্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর এ গুজবের বিপরীতে  ভাইরাসের ‘সংক্রমণ নিয়ে পরিষ্কার যোগাযোগ’ হিসেবে এ গবেষণা পত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।

এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক ভিডিও বার্তায়, করোনা  মোকাবেলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও এসব দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি, এসব শিল্পের সাথে জড়িতদের সহায়তায় সরকার সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে বলেও ভিডিও বার্তায় জানানো হয়েছে।

মাছ/চিংড়ির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি; এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটি এর এমন তথ্যে সবার মাঝে ভুল ধারণা দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।