নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাউকুল ও আপেল কুলের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত এই কুল চাষে সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রহী হয়েছে দেশের কৃষকরা। স্থানীয়ভাবে বলসুন্দরী কুল বলা হলেও এটির প্রকৃত নাম বাউ-৩। আকারে বেশ বড় ও হালকা মিষ্টির এ কুল রাজশাহী বাজারে দেখা মিলছে। দামও বেশ ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজার, উপশহর নিউমার্কেট ও লক্ষীপুর নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলসুন্দরী কুল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কুলের দেখা মেলেনি। আজ পুরো বাজারে অন্তত ৫ মণের মতো কুল আমদানি হয়েছে।

মৌসুমী কুল ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম সাহেববাজারে এক মণ কুল বিক্রি করতে নিয়ে এসেছিলেন। বিক্রি করেছেন ৩০ কেজির মতো। বাঁকি কুল বিক্রি করছেন ১২০ টাকা কেজি দরে। আকারে বেশ বড় হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন তার কুল।

জানতে চাইলে আশরাফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, “বাঘা থেকে কুল এনেছি। ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। আজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কিছুদিন আগেও এরকম পাকা কুল বাজারে ছিলনা। গাছ থেকে টাটকা কুল বাজারে এনেছি। মৌসুমের শুরুর ফল হওয়ায় দামের দিকে না দেখে কিনছে মানুষ।”

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ভারতীয় নতুন জাতের কুল চাষে লাভবান চাষিরা

সোনালী মুকুলে স্বপ্ন বুনছেন রাজশাহীর চাষিরা

বলসুন্দরী কুলে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন বদরুল

খাঁচায় মাছ চাষে ভাগ্য পরিবর্তন রায়গঞ্জের চাষিদের

আরেক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন,“ আমি ৩ মণ কিনেছি। পবা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এসব কুল। পুকুরের পাড়ের বাগানে এসব কুল ভালো ফলে। প্রায় ২ মণ বিক্রি হয়েছে। যা আছে আজই বিক্রি হয়ে যাবে। আমি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আমার এই কুল সাইজে ছোট হওয়ায় একটু দাম কম।”

পাশে হাবিবুল ইসলাম নামের কুল ব্যবসায়ী বিক্রি করছিলেন দেশী ও বলসুন্দরী কুল। তিনি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, “দেশী টক বরই বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজি। আর ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি বলসুন্দরী কুল। আস্তে আস্তে দাম কমবে। মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি থাকে। মানুষ এককেজির জায়গায় হাফকেজি করে কিনছে।”

কুল কেনার সময় কথা বলছিলেন আব্দুর রহিম নামের এক ছাত্র। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শখ করে হাফকেজি কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে। নতুন ফল বাজারে এসেছে। চোখের সামনে পড়লো তাই নিলাম। দাম কমে যাবে। কিছুদিন পর ৫০ টাকা কেজি হিসেবেই পাওয়া যাবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ