মৎস্য কর্মকর্তাকে কাজে বাঁধা

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মৎস্য কর্মকর্তাকে কাজে বাঁধা দিলে দুই বছরের জেলসহ অর্থদণ্ড এর বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘সামুদ্রিক মৎস্য (মেরিন ফিসারিজ) বিল-২০২০’ পাস হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরক, নিষিদ্ধ জাল, সরাঞ্জাম ব্যবহারে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর, ২০২০) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের স্থিরকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘দি মেরিন ফিশারিজ অধ্যাদেশ’ রহিত করে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

শুরুতে বিলের ওপর আনীত কতিপয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তবে বিলটির ওপর আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, বিস্ফোরক ব্যবহার করার পাশাপাশি অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ জরিমানা করা হবে।

মৎস্য কর্মকর্তার কর্তব্য রত কাজে বাঁধা দিলে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, বেআইনিভাবে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে ২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

কোন বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিদের দায়ি করা হবে। শাস্তির বিধান হিসেবে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে। আর কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করে তবে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিলটি তা বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিলটির পাশাপাশি সংসদে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২০ পাস হয়। ১৯৮৩ সালে জারি করা অধ্যাদেশ রহিত ও যুগোপযোগী করে নতুন এই বিলটি আনা হয় ও পাস করা হয়।

আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেশি মাছে পরিপূর্ণ আত্রাই নদী পাড়ের শুটকি পল্লী

মৎস্য কর্মকর্তাকে কাজে বাঁধা দিলে দুই বছরের জেলসহ অর্থদণ্ড শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বাংলাদেশ প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যম থেকে নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এ বিল পাশ হওয়ার ফলে মৎস্য কর্মকর্তারা স্বাধীন ও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারবেন।