প্রতীকী ছবি

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বয়স বেড়ে গেলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করেন অনেকেই। যাতে শরীর সুস্থ থাকে, দীর্ঘজীবী হতে পারেন। কিন্তু বিশ্বে এমন দেশ আছে যারা বছরে প্রতিটি মানুষ ১০০ কেজির বেশি মাংস খান! যা হিসেব করলে একটি গরুর অর্ধেকের সমান।

বিবিসি বাংলার ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক বছরে কোন দেশে কতো মাংস খাওয়া হয় সেই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

তারপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। এই দুটো দেশে একজন ব্যক্তি বছরে ১০০ কেজির বেশি মাংস খায়, যা প্রায় ৫০টি মুরগি কিম্বা একটি গরুর অর্ধেকের সমান।

আরোও পড়ুন: আপাং গাছের ২৮ উপকারিতা ও ভেষজ গুণাবলী

লাউয়ের সুস্বাদু পায়েশ রান্না করবেন যেভাবে

যে ২৪ রোগের মহাওষুধ লবঙ্গ

সারা বিশ্বে এই প্রবণতা খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখি যে ধন সম্পদের সাথে এর একটা সরাসরি সম্পর্ক আছে। নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলোতেই মাংস এখনও একটি বিলাসবহুল খাদ্য।

২০১৩ সালের হিসেবই পাওয়া যায় সবশেষ। তাতে দেখা যায় মাংস খাওয়ার এই উচ্চ হার চোখে পড়বে পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে একজন মানুষ বছরে ৮০ থেকে ৯০ কেজি মাংস খেয়ে থাকেন।

কিন্তু এর বিপরীত চিত্র পাওয়া যাবে গরিব দেশগুলোতে। সেসব দেশের লোকজনের মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। ইথিওপিয়ায় একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় সাত কেজি, রোয়ান্ডায় আট কেজি এবং নাইজেরিয়াতে ৯ কেজির মতো মাংস খেয়ে থাকেন।

ইউরোপের একজন নাগরিক গড়ে যতো মাংস খান এসব দেশের মানুষের মাংস খাওয়ার পরিমাণ তার দশগুণ কম।

উপরে যেসব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হিসেব করা হয়েছে শুধু কতোটুকু মাংস খাওয়া হচ্ছে সেটা বিবেচনা করে। কিন্তু বাড়িতে বা দোকানপাটে যেসব মাংস ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেটা এসব হিসেবে ধরা হয়নি।

যে দেশের মানুষ একটি গরুর অর্ধেক খেয়ে ফেলেন! শিরোনামে সংবাদের তথ্য বিবিসি বাংলা সংবাদমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।