জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কয়েক বছর আগেও প্রায় প্রতি বাড়িতে মুরগি পালন করে মাংস ও ডিমের চাহিদা মেটানো হতো। এ প্রচলন একেবারেই নেই। এখন মানুষ চাইলেই হাতের নাগালে কিনতে পারছেন মুরগি, ডিম।

এ পরিবর্তন এমনিতেই আসে নাই। দেশের পোল্ট্রি উদ্যোক্তা আর খামারিদের পরিশ্রমে নীরব বিপ্লব ঘটেছে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে।

এরপর দেশের মানুষের ডিম, মুরগির মাংসের চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিকিভাবে উৎপাদন শুরু হয় পোল্ট্রির মুরগি ও ডিম। এতেও বেশ চমক দেখিয়েছে পোল্ট্রি শিল্প। চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় একই গতিতে চলছে।

এবার আরও বড় চমকের পথে হাঁটছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পোল্ট্রি শিল্প। দেশের পোল্ট্রি শিল্প বিশ্ব মাতাবে, এমন আভাসও মিলছে। উদ্যোক্তারা বলছেন আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে রপ্তানী শুরু হবে।

সম্প্রতি উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ পোল্ট্রি প্রদর্শনী-১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, পোল্ট্রির মাংস ও ডিম রপ্তানির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানী সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।

তারা বলেন, এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানি শুরু হবে। তবে এ শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেদিকে নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান  বলেন, কাঁচামালের ওপর শুল্ক ও কর কমানো, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে শূণ্য করা দরকার।

এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের ওপর আগামী ৫ বছরের জন্য ভর্তুকী দেয়ার দাবি জানান বিপিআইসিসি সভাপতি। ট্যানারির বর্জ্যের বিরুদ্ধে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ও মিডিয়াকে যুক্ত করার, অবৈধ ফিড মিল উচ্ছেদে তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, সারাদেশে পোল্ট্রি খামার জরিপ শুরু করা, অবিলম্বে পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন এবং সারাবছর জুড়ে ডিম ও মাংসের নায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা চান মসিউর।

ওয়াপসা-বিবি’র সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানি শুরু হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের মুসলিক অধ্যুষিত এলাকা এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর হালাল মার্কেটে প্রবেশের সুযোগ আছে। এজন্য সরকার আন্তরিক, চেষ্টা করছে পোল্ট্রি শিল্প।