মেহেদী হাসান, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা সংকট শুরুর সময়ে মার্চে দেশের সব খাদ্যপণ্যের দাম যখন বাড়ন্ত তখন পোল্ট্রি পণ্যের দাম কমে যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ডিম ও মুরগির দাম অর্ধেকে নামে। উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রেতারা বিক্রি করেছেন এ দুটি পণ্য। কিন্তু গত মাসের শেষ দিক থেকে বাড়তে থাকে ডিম ও মুরগির দাম। বর্তমানে রাজশাহীতে উল্টো পথে ডিম ও মুরগির বাজার।

মুরগির দাম বাড়ার কারণে মাংস উৎপাদনে ফিরেছেন খামারিরা। সরকারি সহযোগিতার দিকে বেশ আশাবাদী খাত সংশ্লিষ্ট সকলেই। দাম বাড়তি থাকায় মাংস উৎপাদনের দিকে যেমন, ব্রয়লার, সোনালি, কক এসব মুরগির বাচ্চা আবারো খামারে তুলতে শুরু করেছেন বলে জানান রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশন।

রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার খুচরা ও পাইকারী মুরগি দোকানদার মিঠু হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে পোল্ট্রি মুরগি ১৭০ টাকা ১৮০ টাকা দরে বেঁচা হয়েছে। এখন কেজিতে ২০-৩০ টাকা নাই। ব্রয়লারের আমদানী আছে তাই দাম কমছে। সোনালি মুরগির দাম বাড়ছে কারণ বাজারে সোনালি মুরগি খুবই কম। সোনালি ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

একই বাজারের ফাহিম ডিম ভান্ডারের মালিক মাসুদরানা এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন,  ডিমের দাম বাড়তি। লাল ডিম ৮০০ টাকা আর সাদা ডিম ৭০০ টাকা করে বিক্রি করছি।

রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার ২৪.কম কে বলেন, রাজশাহীতে করোনার শুরু থেকেই আস্তে আস্তে খামারিরা উৎপাদন বন্ধ করে দেন। ডিম উৎপাদনেনর সাথে সংশ্লিষ্ট লেয়ার মুরগির খামারিরা দীর্ঘ সময়ের প্রজেক্ট হওয়ায় অনেক লোকসানের মুখে পড়েন। ডিমের দাম বাড়তিতে তাদের সুবিধা হয়েছে। তবে ভোক্তা এবং পণ্যেও দামের মধ্যে মিল থাকাটাই ভালো।এতে উভয়ের সুবিধা হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহী জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার পোল্ট্রি খামার আছে। এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার এবং পরোক্ষভাবে আরো দেড় হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে।