মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর ৮ হাজার ২৪১ জন প্রান্তিক খামারি পাবেন সরকারি প্রণোদনা। মহামারি করোনায় উদ্ভূত সঙ্কটে জেলার ৯টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারিরা এ সহায়তা পাবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) থেকে জরুরি কার্যক্রমের আওতায় খামারিদের দেয়া হবে এ আর্থিক সহায়তা। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত গরু, লেয়ার, সোনালী, ব্রয়লার ও হাঁস খামারিদের আর্থিক ক্ষতি পোষাতেই এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের মধ্যে জেলার পবা উপজেলার ৬৩৬ জন, বাঘা উপজেলার ৯৪১ জন, চারঘাট উপজেলার ৪২৭ জন, দুর্গাপুর উপজেলার ৪৬২ জন, গোদাগাড়ী উপজেলার ৫৪৫ জন, মোহনপুর উপজেলার ৮৯০ জন, পুঠিয়া উপজেলার ৫৭৮ জন, তানোর উপজেলার ৫৫৯ জন এবং সবচেয়ে বেশি পবা উপজেলার ৩ হাজার ২০৩ জন পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারি এই প্রণোদনা তালিকার অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের নগদ সহায়তা দেয়া হবে। চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (নগদ, বিকাশ) মাধ্যমে এ সহায়তা পৌঁছে যাবে খামারিদের কাছে। কারোনাকালে খামারিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই আর্থিক সহায়তা পেলে খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রত্যেক খামারি কি পরিমাণ সহায়তা পাবেন জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহা. ইসমাইল হক বলেন, এখন শুধু তালিকা হয়েছে। তালিকায় কারা আছেন এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা খামারিদের জানিয়ে দেবেন। কত টাকা পাবেন এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রণোদনার পরিমাণটা খামারিদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপির অধীনে ইমার্জেন্সি রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে সহায়তার জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয়সহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে সহায়তা প্রাপ্তির প্রস্তাবনা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের এই আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।