আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপাদনের আশা করছে রাশিয়া। যেখানে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। সেখানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমনটি আশা করছে দেশটি।

গত এপ্রিলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোভইকন জানিয়েছিল, চলতি বছর গম উৎপাদনে রেকর্ড করবে রাশিয়া। এ বছর ৮ কোটি ৭৪ লাখ টন গম উৎপাদনের পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছিল।

ফলে রাশিয়ার রফতানিতেও প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৩ বাণিজ্যবর্ষে ৫ কোটি ৩০ লাখ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ টন গম রফতানি করা হবে। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড গ্রেইন কোম্পানির বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গম রফতানি পাঁচ-ছয় কোটি টনের মধ্যে হতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) বৈদেশিক কৃষি পরিষেবা শাখার তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ বছরে রেকর্ড নয় কোটি টন গম উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, যা ২০২১-২২ বছরের ৮ কোটি ৫০ লাখ টনের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।

বছরের হিসেবে ২০২১ সালে সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৬০ লাখ টন গম উৎপাদন করেছিল রাশিয়া। একই সময়ে রফতানি করা হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ টন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউএসডিএ প্রত্যাশা করছে, ২০২২-২৩ বছরে ৪ কোটি ২ লাখ টন গম রফতানি করতে সক্ষম হবে রাশিয়া।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

এবার আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ

১৫ লাখ টন ছাড়াতে পারে ভারতের গম রফতানি

জানুন উচ্চ ফলনশীল গমের নতুন জাত সম্পর্কে, শীষে ৪০ দানা

ভারত থেকে আবার গম আমদানি শুরু

রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম গম উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ। মূলত শীতকালেই মোট গমের ৭০ শতাংশ চাষ হয়। এ বছর ভালো আবহাওয়া ও মাটিতে গম চাষের জন্য যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করায় প্রত্যাশিত ফসল পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের শীতে রাশিয়ায় তীব্র ঠাণ্ডা পড়েনি। এপ্রিলে ছিল তুলনামূলক কম ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের পরিমাণ ছিল একেবারে যথাযথ। মে ও জুনে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা মাঠে থাকা ফসলের জন্য ছিল উপযুক্ত।

এমন সময়ে রাশিয়ায় ভালো গম উৎপাদন হয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনার মাঠে থাকা গম তীব্র খরার কবলে পড়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার ফসল। বৃষ্টির কারণে গমের মান নষ্ট হয়েছে। আবার যুদ্ধসহ নানা কারণে ইউক্রেনের উৎপাদনেও ধীরগতি দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে গম উৎপাদন ও সম্ভাব্য রফতানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে রাশিয়া।

প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদিত হলেও গত অক্টোবরে শস্য রফতানির জন্য কোটা নির্ধারণ করে দেয় রাশিয়া সরকার। সেখানে বলা হয়, ২০২৩-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩-এর ৩০ জুন পর্যন্ত গম, ভুট্টা ও বার্লি মিলিয়ে ২ কোটি ৫৫ লাখ টন শস্য রফতানি করা যাবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ