নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষিবিদ হিসেবে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ সোমবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ৪টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে তিনি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করান।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল ১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেলেন।

কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এর আগে সফলভাবে খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া দেশের কৃষির উন্নয়নে বিভিন্নভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী।

ড. আব্দুর রাজ্জাক (জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫) হলেন একজন বাংলাদেশি কৃষিবিদ ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টাংগাইল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তৎকালীন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রাথমিক ও কর্মজীবন: আব্দুর রাজ্জাক টাংগাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জালাল উদ্দিন এবং মাতার নাম রেজিয়া খুতুন।

১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পারডু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি অর্জন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর তিনি যুক্তরাজ্যের অ্যাঞ্জেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ালেখা করেছেন। বাংলাদেশে ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ ও স্থায়ী গ্রামীণ কৃষি উন্নয়ন বিষয়ে তিনি অন্যতম একজন বিশেষজ্ঞ।

রাজ্জাক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) একজন বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের প্রধান বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীজীবন শেষ করেন।

রাজনৈতিক জীবন: রাজ্জাক ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে জড়িত হন। ২০০১ সালে কর্মজীবন শেষ করে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের তৎকালীন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এ মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নামে পৃথক দুটি মন্ত্রণালয় তৈরির পর তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি জাতীয় সংসদের ‘অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৬ সালে আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য (সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি) নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সূত্র: উইকিপিডিয়া।