নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাজারে ক্রমশই বাড়ছে শীতকালীন সবজির উপস্থিতি। বাজারে বিন্দুমাত্র সংকট নেই তবুও সবজির বাজারে আগুন। কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম।

ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “রাজশাহীতে স্বাভাবিক সময়ে সবজি যে দামে বিক্রি হয় তার কয়েকগুণ বেশি দামে কয়েক মাস ধরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে কোন সবজির সংকট নেই। উপরুন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বাসায় অবস্থান করছে। তারপরও কেন এতো দাম তা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।”

অপরদিকে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে যেতে পারে। একেবারেই কমে না গেলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে চলে আসবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামসুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে বাজারে নতুন আলু-পেঁয়াজ আসবে। রাজশাহীর আলু আসতে ১ মাস অথবা ২৫ দেরি হলেও নীলফামারি, কুড়িগ্রাম ঐসব অঞ্চলের আলু আসতে শুরু করবে।  কোথাও কোথাও বাজারে নতুন আলু এসে গেছে। পেঁয়াজও প্রায় ১৫-২০ দিনের মধ্যে চলে আসবে। নতুন আলু-পেঁয়াজ আসলে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না ।

বাজারে বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স জাতভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ও বরবটি ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো জাতভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, বাধাকপি ৫০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চড়া দামে বিক্রি হয়েছে শাকও। প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ডিমের মধ্যে লাল বাদামি ডিম প্রতিহালি (৪টা) ৩৪ টাকা ও লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকা হালি।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ থাকলেও বর্তমানের বাড়তি বাজারে খুব বেশি দাম কমবে না। এবিষয়ে সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দাম একটু কমতে পারে।

আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর ২০২০) সকাল এবং বিকেলে রাজশাহীর সাহেববাজার, লক্ষীপুর কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে দেখে গেছে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় আগের মতোই আটাশ ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৮ টাকা, কাটারিভোগ ৫৫ টাকা, বাসুমতি ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা। তবে কেজিতে ৫ টাকা কমে পোলাও চাল (খোলা) বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজিতে।

আর প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫০ টাকা কমে ৭৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, সোনালী মুরগি ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, পাতিহাঁস ২৬০ টাকা ও রাজহাঁস ৩৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

দীর্ঘদিন সংগ্রহ বন্ধ থাকার পর বাজারে দেখা মিলেছে ইলিশের। ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই ২২০ টাকা, সিলভার ১২০ টাকা, মৃগেল ১৬০ টাকা, চিংড়ি জাতভেদে ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ