সাজা ও জরিমানা বৃদ্ধি

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সাজা ও জরিমানা বৃদ্ধি করে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ উথাপন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এতে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া মেরিন ফিসারিজ অর্ডিনেন্সকে বাংলায় নতুন আইন করতে সংসদে বিলটি উথাপন করেছেন প্রতিমন্ত্রী। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফরডটকম সংবাদ মাধ্যম এ নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। তারই অংশ নিচে তুল ধরা হলো।

সংবাদ মাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২০) মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বুধবার সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ সংসদে উত্থাপন করেন।

এরপরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী খসরু জানান, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্য সম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

১৯৮৩ সালে ‘দি মেরিন ফিসারিজ অর্ডিনেন্স’করা হয়েছিল। সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সেটি বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দিলে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে দুই বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে এসব অপরাধের জন্য সাজার মেয়াদ কিছুটা কমানো হলেও জরিমানার পরিমাণ উভয় ক্ষেত্রেই এক লাখ থেকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিস্ফোরক ব্যবহার করে, হতচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এই অপরাধের জন্য কেবল এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

বেআইনি ধরা মাছ সংরক্ষণ, মজুদ বা বিক্রি করলে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

নৌযান চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতা, অর্থাৎ কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা করেন এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করেন, তার শাস্তি দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

আগের আইনে এ অপরাধে কেবল ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিলো।

এছাড়া নৌযানে থাকা ব্যক্তিদের অপরাধের জন্য ওই নৌযানের স্কিপার দায়ী হবে। এ অপরাধে জরিমানার পরিমাণ পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা এবং দুই বছরের জেলের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বিলে নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে দুই বছরের জেল এবং ২৫ লাখ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে এ অপরাধের জন্য তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সাজা ও জরিমানা বৃদ্ধি করে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ উথাপন শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বিডিনিউজ২৪ থেকে নেয়া হয়েছে।