এম. হাসান, মেলা প্রাঙ্গন থেকে, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ‘এসএমএস কোম্পানির উদ্যোক্তারাই মুলত ফিডের কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে বাজারে সরবরাহ করে। এজন্য অন্যদের থেকে কাঁচামাল ক্রয় বাবদ আমাদের খরচ কম হয়। এছাড়া আমরা সম্পূর্ন নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে খাদ্য তৈরি করি। এজন্য আমাদের ফিড দামে সাশ্রয়ী এবং মানে অনন্য।’

রাজধানীর কুড়িল বিশ্ববরোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশ সিটি, বসুন্ধরায় বৃহষ্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া ১১তম ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি শো’র প্রাঙ্গনের ৩ নম্বর হলের ৭, ৮ নম্বর স্টল থেকে এমনটিই বলছিলেন এসএমএস ফিড লিমিটেড এর এজিএম (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) দিপক চন্দ্র পাল।

কোম্পানি উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে দিপক চন্দ্র বলেন, ‘এই কোম্পানির তিনজন উদ্যোক্তা আছেন। অনেক আগে থেকেই তারা ফিডের কাঁচামাল সরবরাহকারক হিসেবে ব্যবসা করতেন। সেখান থেকেই মুলত তারা বাজারে ভাল মানের খাবার সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

২০০৭ সালের মার্চ মাসে বাজের ভালো মানের খাবার সরবরাহের উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এসএমএস ফিড লিমিটেডের, যোগ করেন দিপক চন্দ্র।

কোম্পানির সফলতা সম্পর্কে বলেন, ২০০৭ সালের মার্চে মাছের ডুবন্ত খাদ্য তৈরি মাধ্যমে কোম্পানির যাত্রা শুরু। ২০১০ সালে মাছের ভাসমান খাদ্যের তৈরি শুরু হয়। বর্তমানে মাছের ভাসমান খাবার উৎপাদনের জন্য দুইটি এবং সিংকিং (ডুবন্ত) খাবারের জন্য একটি ইউনিট রয়েছে। এছাড়া সোনালী ও বয়লার এর জন্য একটি এবং পোল্ট্রির জন্য একটি ইউনিট রয়েছে।

এই পাঁচটি ইউনিটে প্রতি ঘণ্টায় ২৪ টন খাদ্য তৈরি হয়। ৯টি ডিপো থেকে ডিলারদের মাধ্যমে আমরা সারাদেশে খাদ্য সরবরাহ করে থাকি। মালিক পক্ষ সবসময় কোম্পানির দেখভাল করেন। আমাদের ফিড খুব ভালে চলছে এবং এর প্রসারতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোম্পানির কার্যক্রম সস্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, মার্কেটিং পর্যায়ে সবমিলিয়ে আমাদের ৫০জন কর্মকর্তা আছেন। যারা সরাসরি খামারিদের সাথে কথা বলে টেকনিক্যাল সুবিধা প্রদান করেন। আমাদের ফিড ব্যবহার করেন না এমন খামারিদেরও আমরা টেকনিক্যাল সহায়তা দিয়ে থাকি।

ডিলারদের জন্য নির্ধারিত মূল্যে বড় খামারীদের কাছে আমরা পণ্য সরবরাহ করি। ডিলার থেকে শুরু করে কোনো খামারি আমাদের পণ্য বাদ দিয়ে অন্য কোনো পণ্য গ্রহণ করেছে- এমন ঘটনা ঘটে নি। প্রতিবছর ডিলার ও বড় খামারীদের নিয়ে দেশে-বিদেশে একটি বার্ষিক ট্যুরের আয়োজন করা হয় বলেও তিনি জানান।

৭, ৮ ও ৯ মার্চ ডব্লিউ.পি.এস.এ বাংলাদেশ শাখা এবং ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ (বিপিআইসিসি) এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি শো ২০১৯। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্যে উন্মুক্ত থাকবে।