নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বরগুনা জেলা সূর্যমুখী ফুলের আবাদ ও উৎপাদনে অন্যতম। চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে অনেকটাই। সরকারের সহযোগিতায় খরচ কমার কারণে এ আবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা হিসেবে।

বরগুনা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো ধান, বোরো হাইব্রিড, মুগডাল ও খেসারি ডাল রয়েছে।

কৃষিবিদ বদরুল আলম জানিয়েছেন, সূর্যমুখী তেলে আছে মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬ ও ফলিক অ্যাসিড। শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও পানিসহ এ তেল ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলমুক্ত। এ ছাড়া ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যুক্ত এ তেল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

দাম কমায় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সূর্যমুখী তেল

টালমাটাল সূর্যমুখী তেলের বাজার

ভোজ্যতেল সূর্যমুখী চাষে বাণিজ্যিকভাবে সফল চাষিরা

নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে ২ হাজার বিঘা জমিতে সূর্যমুখি চাষ

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এবার চাষিরা গত বছরের তুলনায় হঠাৎ করে সূর্যমুখীর চাষে ঝুঁকছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার সূর্যমুখী বীজের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এবার কৃষি বিভাগ চাষিদের সূর্যমুখী বীজ প্রণোদনা দিয়েছে। এতে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। আর কৃষক পর্যায়েও কিছু বীজ মজুদ আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সয়াবিন তেল আমদানি হয়। তেলের আমদানি কমাতে সরকার এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সূর্যমুখীর গাছ জ্বালানির কাজেও ব্যবহার হয়। আগামীতে এর চাষ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ