ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার হুমায়ন আহমেদ নামে এক কৃষক ২০ কেজি ওজনের একটি ওলকচু ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

নিজের জমিতে আবাদ করা ওই ওলকচু নিয়ে তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিসে আসলে। এ সময় এক ব্যক্তি ৪০ টাকা কেজি দরে ৮০০ টাকা দিয়ে বিশাল এই ওলকচু কিনে নেন।

হুমায়ন আহমেদ বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকার কৃষি ফসল আবাদ ও প্রদর্শনী করি। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছি, এমনকি আমাকে দেখে গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ীর আরও কয়েকজন কৃষক এই ওলকচু চাষ করছেন। অনেকে আমার কাছে এসে পরামর্শ নেন।

তিনি আরও বলেন, আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ শুরু করি। বর্তমানে গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ২০০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের প্রজেক্ট করেছি। জেলার সেরা কৃষক হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে তুরস্ক, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছি।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বারি ওলকচু-১ পরিচর্যা এবং রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনের কৌশল

লতিরাজ কচু চাষে কৃষকের মুখে হাসি

জানুন (মধ্য অক্টোবর-মধ্য নভেম্বর) যেসব ফসল চাষ করবেন

এ সময়ে যেসব সবজি চাষে বেশি লাভবান হওয়া যাবে

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওলকচুর প্রদর্শনী খামার পরিদর্শন করা হয়। যেখানে কৃষকরা ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের ওলকচু উত্তোলন করেছেন। তবে পরিচর্যা ভাল হলে এর ওজন আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলায় এই জাতীয় বিশেষ করে কন্দাল ফসলের তেমন পরিচিত ছিল না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কন্দাল ফসল যেমন ওলকচু, গাছ আলু, মিষ্টি আলু, পানি কচু ও লতি কচুসহ বিভিন্ন ফসল উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে। এতে কৃষকও অনেক লাভবান হচ্ছেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ