২২ দিন ইলিশ আহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের ২২ দিনে দেশের ৮ বিভাগে ২ হাজার ৬৪০ টি মোবাইল কোর্ট ও ১৯ হাজার ৮১৮ টি অভিযান পরিচালনা এবং মৎস্য আইনের আওতায় ৫ হাজার ৫৩৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল- জরিমানা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

২২ দিনে ১৯ হাজার ৮১৮ অভিযান, সাড়ে ৫ হাজার জেলের জেলা-জরিমানা সংবাদের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন।

অভিযানের প্রথম দিন গত ১৪ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় জেলে ও মৎস্যজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে নৌপথে অভিযানে অংশ নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রীর সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অভিযানে অংশ নেন।

আরোও পড়ুন: এক বাড়ি থেকেই ‘অর্ধকোটি’ টাকার মা ইলিশ উদ্ধার!

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবছর অভিযান বাস্তবায়নের ২২ দিন দেশের ৮ বিভাগে ২ হাজার ৬ শত ৪০ টি মোবাইল কোর্ট ও ১৯ হাজার ৮ শত ১৮ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২৪৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ১২ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জালসহ ২ হাজার ৬ শত ৮৫ টি অন্যান্য অবৈধ জাল আটক করা হয়েছে।

এসময়ে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের কারণে মৎস্য আইনের আওতায় ৫ হাজার ৫ শত ৩৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে এবং ৯০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৬ হাজার ৯ শত ৪ টি। এসময়ে অবৈধভাবে আহরিত ৪৫.৪১ মেট্টিক টন ইলিশ মাছ আটক করা হয়েছে। নৌকা ও জাল নিলামে সরকারের আয় হয়েছে ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা।

আরোও পড়ুন: পদ্মায় ইলিশ ধরায় ৫৩ জেলে আটক, মা ইলিশ উদ্ধার

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বিভিন্ন জেলায় মাঠ পর্যায়ের অভিযানে অংশ নিয়েছেন। অভিযান সফল করতে মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত একাধিক তদারকি টিম মাঠে কাজ করেছে।

এবছর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় আকাশপথে হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। তাছাড়া নৌপুলিশ, পুলিশ, বিমান বাহিনী নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড এর সমন্বয়ে একাধিক যৌথ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দিক-নির্দেশনায় ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের তত্ত্বাবধানে এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক, ১৫২ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, নৌপুলিশ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, র্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।

আরোও পড়ুন: আন্তর্জাতিক বাজারে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ রপ্তানির সম্ভাবনা

উল্লেখ্য ১৪ অক্টোবর হতে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছিলো সরকার। এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় ছিলো আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ