মাহমুদুর রহমান রনি (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার নিমতলী আজিজাবাদ চর মাইঠা স্কুলের কৃষি শিক্ষক হাসানুল হক উজ্জল ড্রাগন চাষ করে সফল। শিক্ষকতার পাশাপাশি হাসানুল হক উজ্জল নিজ বাড়ির সামনে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ২ একর জমিতে ড্রাগন চাষ করে । এ বছর তার বাগানে ড্রাগন ফল ধরেছে তিনি ড্রাগন ফল বিক্রি শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত হাসানুল হক উজ্জল ৮ শত২৫ খুঁটির ড্রাগন বিক্রি করেছে ২০ লাখ টাকা।

ড্রাগন চাষী হাসানুল হক উজ্জল বলেন, আমার বাগানে ১ হাজার ১ শত ২৫ খুঁটিতে ৬ হাজার ৫ শত ড্রাগ গাছ রয়েছে। এখন আমার বাগানে ৮ শত২৫ খুঁটির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে । ৩ শত খুঁটিতে এবছর নতুন ড্রাগন চারা রোপন করেছি । এখন পর্যন্ত আমি ২০ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছি।

আমার বাগানের সকল ড্রাগন গাছের ফল ধরলে আমি ২৫ থেকে ৩০ লখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করতে পারতাম এ বছর। আমার এই দুই একর জমিতে ধান চাষ করলে বছরে ৮০ হাজার টাকা ধান পেতাম। কিন্তু সেই জমিতে ড্রাগন চাষ করে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করা সম্ভব।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

 বড় নয়, মাঝারি দেশাল গরুর দিকে যে কারণে ঝুঁকছে খামারিরা

আলোহীন চোখ নিয়ে গরুর খামারে লাখোপতি ফাহিম

গরুর নতুন খামারের জন্য বকনা ও গাভীর প্রাপ্তিস্থান-মূল্য

আমার বাড়ির সামনে আরো জমি রয়েছে সরকারি সহায়তা পেলে আরো জমিতে ড্রাগন চাষ করব।তিনি আরো বলেন প্রতি কেজি ড্রাগন পাইকারি বিক্রি করি ৩০০-৩২০ টাকায়। আমার বাগান থেকে মাসে দু’বার ড্রাগন ফল কাটা যায় । এবছর আমার বাগান থেকে প্রায় ৭ মেট্রিক টন ড্রাগন বিক্রি করেছি।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ড্রাগন একটি লাভজনক চাষ হাসানুল হক উজ্জ্বল স্যার ড্রাগন চাষ করে লাভবান হয়েছে তাই আমরা তার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে ড্রাগন চাষ করছি ও অন্য কৃষকদের ড্রাগন চাষে উৎসাহিত করছি ।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

রাজশাহীতে ভয়ংকর এলএসডি আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে

গরুর প্রাণঘাতী ব্যাবেসিওসিস রোগ সম্পর্কে জানেন কি?

গরুর তড়কা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে বরগুনা জেলায় প্রায় ১১ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ করা হয়েছে। সকলের ড্রাগন বাগানের ফলন ভালো। সকলে ড্রাগন বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

বরগুনা জেলা উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আবু সৈয়দ মোঃ জোবায়দুল আলম বলেন,কৃষি বিভাগ থেকে প্রতিনিয়তই ড্রাগন চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে এবং কৃষকদের প্রশিক্ষন কার্যক্রম অব্যহত রাখছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ