ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আমাদের দেশে ভুট্টা সাধারণত পশু-পাখির খাদ্যের পাশাপাশি আটা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, বছরে দেশে উৎপাদিত ৫৪ লাখ টন ভুট্টা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন ভুট্টার তেল আহরণ করা সম্ভব। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। ভুট্টার তেল তৈরির পাশাপাশি ভুট্টা থেকে কর্ন ফেক্স, কর্ন চিপস্ তৈরি করাও সম্ভব। পাশাপাশি দেশে আশা জাগাতে পারে ভুট্টার তেল।

ভোজ্য তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। দিনে দিনে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয়ভাবে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ জন্য আমন ও বোরো ধানের মাঝে যে সময়টুকু থাকে, ওই সময় স্বল্পমেয়াদি সরিষা চাষ করে সরিষা ও সরিষা তেলের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ সহজ মনে হলেও কাজটি কিন্তু চ্যালেঞ্জিং। এর মধ্যে নানা ধরনের প্রযুক্তিগত বিষয় রয়েছে।

ভোজ্য তেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা আংশিক স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরো একাধিক উৎস থেকেও ভোজ্য তেল আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু দেশে বিপুল পরিমাণে (৫৬.৬ লাখ টন) ভু্ট্টা উৎপাদিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এর চাষ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, তাই ভুট্টার তেল বা কর্ন অয়েল বা কর্ন জার্ম অয়েল উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল, সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ খাত।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

ভুট্টা থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার তেল (ভিডিও)

ভুট্টার অধিক ফলনশীল কয়েকটি জাত সম্পর্কে জানুন

সাড়ে ৬৬ হাজার টন গম-ভুট্টা রপ্তানি করবে ইউক্রেন

অধিক ফলন পেতে ভুট্টার যেসব জাত নির্বাচন করবেন

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য প্রচলিত তেল ফসল হচ্ছে সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, তিল ও তিসি। এর মধ্যে নানা রকম ব্যবহারের কারণে সরিষা ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ভোজ্য তেলের উৎপাদন খুবই সামান্য। একসময় গাজীপুর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুস্বাদু বাজনার তেল পাওয়া যেত। চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের বাজারেও বিদেশ থেকে আমদানি করা ভুট্টার তেল পাওয়া যায়। এসব আমদানি করা ভোজ্য তেলের সঙ্গে সরিষা ও অন্যান্য তেল ফসল থেকে দেশজ উৎপাদন (প্রায় তিন লাখ টন) যোগ করে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা নিরূপণ করা যায়, যা বছরে কমবেশি ২১ লাখ টন (মতান্তরে ২৪ লাখ টন)। তাই দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশে ভুট্টার তেল উৎপাদনের কথা এখনই ভাবতে হবে। তাহলে ভোজ্য তেলের আমদানিনির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তুরস্ক, ব্রাজিল, জাপান, ইতালি, বেলজিয়াম, কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, স্পেন, মোজাম্বিক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভারতসহ বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশ বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ভুট্টার তেল উৎপাদন করছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ৩২ লাখ মেট্রিক টন। এসব তেল তারা বিদেশেও রপ্তানি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অন্যতম প্রধান ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশ হলেও ইতালি ও জাপান ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদন করছে।

ভুট্টার তেল একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ভোজ্য তেল। প্রায় সব রান্নায় এই তেল ব্যবহার করা যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই (১০ শতাংশ) ও ভিটামিন-কে (১ শতাংশ)। এই তেল ব্যবহারের ফলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সুস্বাদু, মিষ্টি গন্ধ ও সুন্দর রঙের জন্য এই ভোজ্য তেল অধিক জনপ্রিয়। রান্নার তেল ছাড়াও ভুট্টার তেল বায়োডিজেল, সাবান, পেইন্ট, কালি, ওষুধ তৈরিতে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্ববাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

জানুন বারি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ১০টি ভুট্টার জাত সম্পর্কে

রেকর্ড গড়তে পারে গম-ভুট্টার দাম

লালপুরে ভুট্টার বাম্পার ফলন, তৌহিদুলের লাভ ৭ লাখ টাকা!

দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ভুট্টা, খুশি চাষিরা

একটি ভুট্টার দানায় চারটি অংশ থাকে—১. স্টার্চ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ এন্ডোস্পার্ম (৮৩ শতাংশ), ২. বহিত্বক (৫ শতাংশ), ৩. টিপ বা অগ্রভাগ (১.০ শতাংশ) এবং ৪. প্রোটিন ও তেলসমৃদ্ধ ভ্রূণ বা জার্ম (১১ শতাংশ)। কর্ন জার্ম থেকে উৎপাদিত তেলকে কর্ন জার্ম অয়েলও বলা হয়। ভুট্টার দানায় সাধারণত ৪-৫ শতাংশ তেল আছে, যার বেশির ভাগ (৮৩ থেকে ৮৫ শতাংশ) ভ্রূণ বা জার্ম অংশে সীমাবদ্ধ থাকে। ভুট্টার দানা থেকে ভ্রূণ বা জার্ম অংশ (দানার ১১ শতাংশ) সহজেই আলাদা করা যায়। ভ্রূণ বা জার্ম অংশ আলাদা করে তা শুকিয়ে নিলে তা থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ তেল পাওয়া যায়।

ভৌত (physical) বা রাসায়নিক (chemical) পদ্ধতিতে চার-পাঁচ ধাপে এই ক্রুড তেল রিফাইন করতে হয়। ক্রুড তেল রিফাইন করার ফলে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বস্তু তেল থেকে অপসারিত হয়ে খাওয়া ও বাজারজাত করার উপযোগী হয়। রিফাইন তেল দেখতে সুন্দর রং, খেতে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত।

বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদিত হয় তার বেশির ভাগ (প্রায় ৯৫ শতাংশ) ব্যবহার করা হয় পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্যে। সরাসরি মানুষের খাবার হিসেবে এর ব্যবহার খুবই সীমিত (প্রায় ৫ শতাংশ)। বেবিকর্ন সবজি হিসেবে, পপকর্ন খই হিসেবে এবং রোস্টেড কর্ন (পোড়ানো ভুট্টা) মানুষ সরাসরি খেয়ে থাকে। তা ছাড়া গমের সঙ্গে কিছু অংশ ভুট্টা মিশিয়ে যে আটা তৈরি হয়, তা গুণে ও মানে ভালো বলে জানা যায়।

কিছু প্রতিষ্ঠান ভুট্টা থেকে স্টার্চ তৈরি করছে বলেও জানতে পেরেছি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদন করতে গিয়ে সফলকাম হতে পারেনি বলেও জানা যায়। মনে করা হয়, এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বা প্রটোকল, দক্ষ/প্রশিক্ষিত জনবল, তেল নিষ্কাশনের লাগসই যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক এবং তেলসমৃদ্ধ ভুট্টা জাতের অভাব ছিল।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

এক মাসে ৭ লাখ ৬৩ হাজার টন গম-ভুট্টা রফতানি ইউক্রেনের

আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে ভুট্টার দাম

এক দশকের সর্বোচ্চ দামে ভুট্টা, বেড়েছে গমের দাম

ভারত থেকে আমদানি কমেছে ভুট্টার, বাড়ছে দাম

পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্যে ভুট্টার ব্যবহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব খাদ্য প্রস্তুত করতে যে ভুট্টা ব্যবহার করা হয়, তা মূলত কার্বহাইড্রেট/স্টার্চ এবং প্রোটিনের জন্য, ফ্যাটের জন্য নয়। যে পরিমাণ (৪-৫ শতাংশ) তেল ভুট্টা থেকে আসতে পারে, তা বিকল্প সোর্স (পাম অয়েল, রাইস ব্রান মিল, সয়াবিন মিল/কেক, সরিষার খইল ইত্যাদি) থেকে অনায়াসে পূরণ করা সম্ভব। উল্লেখ্য, পোলট্রি খাদ্যে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) ফ্যাট প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনে এসব ফিড ফর্মুলেশনে কিছু সংশোধনী লাগতে পারে, আবার না-ও লাগতে পারে।

বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু ভুট্টা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমাদের দেশের কৃষক ভাইয়েরাও এখন প্রশিক্ষিত এবং এর চাষ পদ্ধতিতে সিদ্ধহস্ত। তাই অতি দ্রুত এর সম্প্রসারণ হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০২০-২১ সালে প্রায় ৫৬.৬ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদিত হয়েছে। তবে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এক কোটি টন ভুট্টা উৎপাদন করা।

ভুট্টার ওপর অধিকতর গবেষণা করার জন্য ২০১৭ সালে দিনাজপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে স্বতন্ত্র একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সিমিটের (CIMMYT) মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও এখন অনেক উন্নত। ভুট্টার চাষ সম্প্রসারণ করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আর এগুলো হচ্ছে ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের প্রধানতম শক্তি।

আমাদের কিছু দুর্বল দিকও রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বা সিমিটের ম্যান্ডেট অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম অনেকটাই ফলন বৃদ্ধিকেন্দ্রিক, ব্যবহারভিত্তিক নয় বা সীমিত। যেমন—কিভাবে আরো বেশি ফলন পাওয়া যাবে সেদিকেই তাদের নজর বেশি। কিন্তু এখন সময় এসেছে ব্যবহারের লক্ষ্য ঠিক করে এর জাত উন্নয়ন ও অ্যাগ্রো প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করার।

আরো একটু পরিষ্কার করে যদি বলি, এমন ভুট্টার জাত আবিষ্কার করতে হবে, যা থেকে ভুট্টার তেল, কর্নফ্লেক্স বা উন্নতমানের স্টার্চ উৎপাদন করা যায়। সেই সঙ্গে ওই প্রডাক্ট তৈরির জন্যও প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে হবে। এসব গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ করার প্রয়োজনীয় জার্মপ্লাজম (যা থেকে জাত উদ্ভাবন করা হয়), প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষ জনবল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ল্যাবরেটরির ঘাটতি রয়েছে।

বর্তমানে সীমিত ব্যবহারের কারণে কখনো কখনো ভুট্টার বাজারে অনিশ্চয়তাও দেখা দেয়। যেমন—মুরগির বার্ড ফ্লুর সময় ভুট্টার বাজারে সমস্যা হয়েছিল, চাষিরা তখন কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি। এ সবই আমাদের দুর্বল দিক।

বাংলাদেশে ভুট্টার তেল উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশ বাণিজ্যিকভাবে ভুট্টার তেল উৎপাদন করছে। আমাদের যে শক্তি রয়েছে তার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এবং যেসব দুর্বল দিক রয়েছে, তা অতিক্রম করে এ লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশে বর্তমানে ৫৬.৬ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদিত হয়, তা থেকে প্রায় ৫.৬ লাখ টন কর্নজার্ম পাওয়া যাবে (১০ শতাংশ হিসাবে) এবং তা থেকে ২.০০ লাখ টন তেল নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে। এই দুই লাখ টন ভুট্টার তেলের বাংলাদেশে বাজারমূল্য প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।

তা ছাড়া কর্নজার্ম আলাদা করার পর বাকি অংশ (প্রায় ৯০ শতাংশ) ব্যবহার করে পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্য এবং কর্নস্টার্চ উৎপাদন করা সম্ভব। তেল নিষ্কাশনের পর যে খইল পাওয়া যাবে, তা-ও পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। তবে এ জন্য প্রয়োজন সুসমন্বিত উদ্যোগ। তা ছাড়া গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভুট্টা ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে জাত উন্নয়ন করে এর তেলের পরিমাণ ৪ থেকে ১০ শতাংশের অধিক উন্নীত করা যায়। তা ছাড়া চাষিদের জন্য ভুট্টার বাজার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর ব্যবহারে ডাইভারসিফিকেশন দরকার। এ সবই আমাদের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক।

দেশে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ভুট্টা ব্যবহার করে আমরা মূল্যবান ভুট্টার তেল উৎপাদন করতে পারি। কাজটি চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব নয়। বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশ বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ভুট্টার তেল উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিকল্পনামাফিক অগ্রসর হলে আমরাও ভুট্টার তেল উৎপাদনে সফলকাম হব। তাহলে আর বিদেশ থেকে ভুট্টার তেল আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।

দেশে আশা জাগাতে পারে ভুট্টার তেল লেখাটি লিখেছেন ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা, ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট, জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (নার্স) এবং ড. আবুল কালাম আযাদ, সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ