উন্নত গবেষনায় জলবায়ু সহিষ্ণু

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের কৃষিকে বাঁচাতে উন্নত কৃষি গবেষনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু শষ্যের জাত উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এসিআই লিমিটেড’র এগ্রিবিজনেস ম্যানেজিং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফ এইচ আনসারী।

এসব উদ্ভাবিত জাত সমূহ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেশের কৃষিকে বাঁচানো সম্ভব হলে জানান আধুনিক কৃষির অন্যতম পুরাধা ড. আনসারী।

শনিবার (১৯ অক্টোবর, ২০১৯) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল এগ্রিকালচার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময়ে ড. আনসারী বলেন, বর্তমানে বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের কৃষি ব্যবস্থায়। আর হুমকিতে বাংলাদেশের নাম অনেকটাই উপরে।

সঠিক পদক্ষেপ না নিতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের কৃষিকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে জানান তিনি।

ড. আনসারী

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্রের পানি উচ্চতা বেড়েই চলেছে, এতে উজানের নদীর পানিতে বাড়ছে লবনাক্ততা, যা ফসলি জমিতেও ছড়িয়ে পরছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা, কমছে বৃষ্টির পরিমান মন্তব্য করেন ড. আনসারী বলেন, দেশের কৃষিকে বাঁচাতে হলে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তির বিকল্প নেই। উন্নত কৃষি গবেষনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু বিভিন্ন শষ্যের জাত উদ্ভাবন এবং তা মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেশের কৃষিকে বাঁচানো সম্ভব।

বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক ড এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসাইন ও এফএও প্রতিনিধি ড. নূর আহমেদ খন্দকার।

কৃষিবিদদের সেবা ও অবদান দেশের ডাক্তারের চেয়েও অনেক বেশি মন্তব্য করেন প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, কৃষিবিদরা দেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখে অন্নের নিশ্চয়তা দিয়ে যাচ্ছে সব সময়।

তিনি আরও বলেন, আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে কৃষিতে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারী সকল কৃষি গবেষকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

উন্নত গবেষনায় জলবায়ু সহিষ্ণু শষ্যের জাত উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে; ড. আনসারী এর এ মন্তব্যের সাথে সংশ্লিষ্টরা একমত পোষণ করেন।

আরও পড়ুন: বাকৃবিতে টেকসই কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ইকসা-২০১৯) শুরু