খামারের বিবেচ্য বিষয়সমূহ; ১

পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রিয় টার্কি খামারি চার পর্বে এক হাজার টার্কি খামার পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে এগ্রিকেয়ার২৪.কম। আজ পড়ুন; খামারের বিবেচ্য বিষয়সমূহ; ১ হাজার টার্কি-খামার পরিকল্পনা-১ম পর্ব।

টার্কি (Meleagrisgallopavo) হচ্ছে Meleagridae পরিবারভূক্ত একটি বৃহৎ আকারের পাখি জাতীয় প্রাণি যা পোল্ট্রি প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত।

এর আদিবাসস্থান হলো উত্তর আমেরিকা তবে কালের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপ সহ অন্যান্য অনেক দেশেই টার্কির মাংস জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কলম্বাস ১৯৪৮ সনে স্পেনে প্রথম টার্কির প্রচলন ঘটান।

তথ্যমতে জার্মানিতে ১৫৩০ এবং ইংল্যান্ডে ১৫৪১ সালে টার্কি পালনের প্রচলন ছিল। আমেরিকার প্রথম বাষ্ট্রপতি জজ ওয়াশিংটন ১৭৮৯ সনে “Thanks giving” এর প্রচলন করেন; ঐ সময় থেকে বিশেষ করেটার্কির মাংস বিভিন্ন উৎসবে একটি অন্যতম খাদ্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ভারতের কেরালা ও তামিল নাড়ুতে সর্বাধিক টার্কি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। পোল্ট্রি প্রজাতিগুলোর মধ্যে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে (আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া) টার্কির মাংস খুবই জনপ্রিয়।

মুরগী ও হাঁসের তুলনায় টার্কির মাংসে ফ্যাট তথা কোলেষ্টেরোলের পরিমাণ তুলনামুলকভাবে কম থাকায় এটি বিশেষ করে রেড মিটের তুলনায় বিশ্বব্যাপি অধিক সমাদৃত।

দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁস-মুরগীর মাংসের পাশাপাশি টার্কি মুরগীর মাংসও অনেকের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্য। ২০২১ সালে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের মানুষের গুনগতমানের প্রাণিজ আমিষ সরবরাহের লক্ষ্যে পোল্ট্রি গবেষণায় টার্কির গুরুত্ব অপরিসীম।

এখানে উল্লেখ্য যে, সারা বিশ্বে যে পরিমান টার্কির মাংস উৎপাদন হয় তম্মধ্যে আমেরিকায় ২৫ লক্ষ টন, ইউরোপে ১৭.৫ লক্ষ টন এবং এশিয়ায় মাত্র ৫.৫ লক্ষ টন উৎপাদন করে থাকে।

বাংলাদেশে টার্কি পাখি পালনের খামার স্থাপনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিয়ষ সমূহ:

১। প্রকল্প এমন স্থানে অবস্থিত হবে যেখানে পোল্ট্রি খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় কাচামাল সহজেই সংগ্রহ করা যায় এবং খামারে উৎপাদিত বাচ্চা, মাংস ও ডিম সহজেই বাজারজাত করা যায়।

২। খামারের  আকার, ৩। প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, ৪। উৎপাদন উপকরণ, ৫। জমি ও দালান কোঠা। এ বিষয়াবলীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে টার্কি খামার প্রকল্প তৈরী করা উচিৎ।

আগামী পর্বে পড়ুন: এক হাজার টার্কি পালনে খাদ্য ও টীকা ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা

টার্কি পালনে খামারের বিবেচ্য বিষয়সমূহ; ১ হাজার টার্কি-খামার পরিকল্পনা-১ম পর্ব লিখেছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পোল্ট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগ ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার। সার্বিক তত্তাবধানে: ড. নাথু রাম সরকার, মহাপরিচালক (অঃদাঃ) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট সাভার, ঢাকা।

আরও পড়ুন: টার্কি খামারিদের সুখবর দিলো ব্যাংলাদেশ ব্যাংক, মিলবে ব্যাংক ঋণ