টেংরা মাছের নার্সারী পুকুরে

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: টেংরা মাছের নার্সারী পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ, পোনা উৎপাদন ও আহরণের কৌশল গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

নার্সারী পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ: খাবার হিসেবে পুকুরে শতাংশে ২টি সেদ্ধ ডিমের কুসুম পানিতে মিশিয়ে পর পর ৩ দিন দিনে ৩ বার করে প্রয়োগ করতে হবে। এরপর ৪-৭ দিন ৫০ গ্রাম হারে ময়দার দ্রবণ প্রতি শতাংশে দিনে ৩ বার করে সরবরাহ করা হয়।



৮-১৫ দিন দিনে ৩ বার করে ১০০ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ নার্সারী খাদ্য দিতে হয়। ১৬-২৩ দিন দিনে ৩ বার করে ১৫০ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৩২-৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ নার্সারী খাদ্য দিতে হয়।

২৪-৩০ দিন দিনে ৩ বার করে ৩০০ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৩২-৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ নার্সারী খাদ্য দিতে হয়। ৩১-৪৫ দিন দিনে ৩ বার করে ৪৫০ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৩২-৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ নার্সারী খাদ্য দিতে হয়। ৪৬-৬০ দিন দিনে ৩ বার করে ৬০০ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৩০-৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ নার্সারী খাদ্য দিতে হয়।

রেনু পোনা ছাড়ার ৫৫-৬০ দিন পর আঙ্গুলে পোনায় পরিণত হয়, যা চাষের পুকুরে মজুদের জন্য উপযোগী।

ব্যবস্থাপনা পরিচর্যা: পোনা মজুদের ১৫ দিন পর থেকে প্রতি ১৫ দিন পর পর জাল টেনে মাছের দেহের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিয়মিত পানির গুণাগুণ যেমন তাপমাত্রা, পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া ও মোট ক্ষারত্বের পরিমান নির্ণয় করতে হবে।

পোনা উৎপাদন আহরণ: উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরন করে নার্সারী পুকুরে পোনা মজুদের ৫৫-৬০ দিন পর পুকুর সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে ৬-৭ সেমি. আকারের ট্যাংরা মাছের পোনা পাওয়া যায়।

ইনস্টিটিউট কর্তৃক গবেষণালদ্ধ কৌশল অনুসরণ করলে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি মৎস্য হ্যাচারিসমূহে টেংরা মাছের পোনা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

টেংরা মাছের কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা গেলে চাষের মাধ্যমে এতদাঞ্চল তথা দেশে প্রজাতিটির উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং বিপদাপন্ন অবস্থা থেকে এ প্রজাতির উত্তরণ ঘটবে বলে আশা করা যায়।

পাঠক টেংরা মাছের নার্সারী পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ, পোনা উৎপাদন ও আহরণের কৌশল বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা জানার থাকলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা সংশ্লিষ্ট গবেষকদের কাছ থেকে উত্তর জেনে আপনাদের জানাবো। আমাদের ফেসবুক পেজে এসএমএস করতে পারেন।

আরও পড়ুন: টেংরা মাছের ব্রুড প্রতিপালনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা

টেংরা মাছের কৃত্তিম প্রজনন কৌশল ও নার্সারী ব্যবস্থাপনা