মোফাজ্জল বিদ্যুৎ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনাকালে তরমুজ চাষে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরিশাল বি এম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল মাহমুদ।করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাস।

বাধ্য হয়েই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর নিজ গ্রামে অবস্থান করছিলেন তিনি। অবসর সময় কাটাতে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ শুরু করেন। তরমুজ চাষে সফলতাও পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালেন জাহাঙ্গীর ফরাজি

সোহেল মাহমুদের ভাষ্য, করোনায় কলেজ ক্যাম্পাস বন্ধ হলে গ্রামের বাড়িতে আসি। আমার কলেজের কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষক করোনায় খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় শাক সবজি, ফলমূল চাষের ব্যাপারে উৎসাহমূলক বার্তা দেন। এছাড়াই ইউটিউব দেখে তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে ১০ শতাংশ জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে বারো মাসি ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করি।

আরও পড়ুন: রাজশাহীর শামীম আরার ছাদটি যেন এক টুকরো ‘গ্রাম’

সোহেল মাহমুদ তরমুজ চাষের সফলতা বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, প্রথম দিকে তরমুজের পরিচর্যা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পরে কৃষির সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নিই। পরিচর্যার বিষয়ে তিনি বলেন, উঁচু বীজতলা বা মাচা তৈরি, রাসায়নিক সারের পরিমাণ কমিয়ে জৈব সারের প্রয়োগ বৃদ্ধি, বৃষ্টি কাঁদার হাত থেকে রক্ষা করতে উঁচু মাচার ব্যবহার, কৃত্রিম পরাগায়ন, মাছি পোকা দমন, মাচায় তরমুজকে রক্ষা করতে ব্যাগিং, রোগের লক্ষণ দেখে সঠিক সময়ে সঠিক ঔষুধ প্রয়োগ ইত্যাদি সবকিছুর সঠিক প্রয়োগই হতে পারে তরমুজ চাষে সাফল্যের মূল সূত্র।

তিনি আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে তরমুজ বিক্রির জন্য উপযুক্ত হবে। অসময়ে তরমুজ চাষের সময় কৃষকদের তরমুজের বিভিন্ন রোগবালাই সম্পর্কে দ্রুত শনাক্ত ও সমাধানের বিষয় সংশ্লিষ্টদের ধারণা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদে মাল্টা চাষে তাক লাগিয়েছেন রাজশাহীর সেন্টু

করোনাকালে তরমুজ চাষে তাক লাগিয়েছেন শিক্ষার্থী সোহেলের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার.কমকে বলেন, কলেজ শিক্ষার্থী সোহেল মাহমুদ করোনাকালে অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় এনে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। এছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদের তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে চাষের ব্যাপারে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। তার ১০ শতক জমিতে বর্তমানে ৩৫০টি তরমুজ বিক্রয়যোগ্য হয়েছে। সঠিক দামে বিক্রয় করতে পারলে সোহেল মাহমুদ লাভবান হবেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ