এগ্রিকেয়ার২৪.কম আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক: টানা তিন অর্থবছর  ধারাবাহিক মন্দাভাবের পর সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারতে চিনি উৎপাদন বেড়েছে। এ সময় ভারতের চিনি উৎপাদন গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।

অনুকূল আবহাওয়া, সরকারি প্রণোদনা, আখের বাম্পার ফলনসহ বিভিন্ন কারণে ভারতের চিনি উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) সর্বশেষ খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাড়তি উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে আগামী দিনগুলোয় ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এর জের ধরে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামে বিদ্যমান মন্দাভাব আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বিজনেস লাইন।

আইএসএমএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ভারতে ১ কোটি ৮০ লাখ টনের সামান্য বেশি চিনি উৎপাদন হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়ার জের ধরে পরের দুই অর্থবছর দেশটির চিনি উৎপাদন খাতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন কমে দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টনেরও নিচে।

গত এক যুগে এটাই ভারতে চিনি উৎপাদনের সর্বনিম্ন রেকর্ড। পরের অর্থবছরে ১ কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি চিনি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতের চিনি শিল্প, যা পরের দুই অর্থবছরেও বজায় ছিল।

চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটি সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের কারণে চলতি বছর ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানিতে তেজিভাব বজায় থাকতে পারে বলেও মনে করছে আইএসএমএ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়তি উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দরপতন ঘটেছে। খাদ্যপণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণে রফতানি বাড়ানোর বিকল্প নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে রফতানি বাড়লে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামে বিদ্যমান নিম্নমুখী প্রবণতা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। সূত্র: বণিক বার্তা।