ছবি: গাঁদা ফুল, ছবি তুলেছেন সায়েমা সুলতানা

সায়েমা সুলতানা, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গাঁদা একটি অতিপরিচিত একটি উদ্ভিদ। গাঁদা ফুলকে অনেকে গন্ধা/ গেন্ধা/ গেনদা নামেও ডাকে। গাঁদা ফুলের বিভিন্ন জাত ও রঙ থাকলেও উজ্জ্বল হলুদ ও গাড় কমলা রঙ বেশি লক্ষ্য করা যায়। গাঁদা ফুল বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃ্হসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে । সেই সাথে ফুলটির বেশ কিছু উপকারিতা ও ঔষধি গুণ ও রয়েছে। জেনে নিন গাঁদা ফুলের ৭ উপকারিতা ও ঔষধি গুণ।

বাংলাদেশে প্রধানত দুই ধরনের গাঁদা পাওয়া যায়ঃ

আফ্রিকান গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা হলুদ রঙের, গাছের আকৃতি বেশ বড়। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলা সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দি মুন, ইত্যাদি।

ফরাসি গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা কমলা হলুদ হয়ে থাকে। এজন্য এদের রক্তগাঁদাও বলা হয়। এর গাছ ক্ষুদ্রাকৃতির। পাপড়ির গোড়ায় কালো ছোপ থাকে। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলঃ মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার, ইত্যাদি।
এছাড়াও সাদা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, হাইব্রিড এবং রক্ত বা চাইনিজ গাঁদার চাষ হয়ে থাকে।

গাঁদা ফুলের উপকারিতা :
১. গাঁদা ফুলের অপরুপ সুগন্ধের জন্য এটি থেকে বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধি তৈরী হয়।
২. গাঁদা ফুলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাভনয়েড নামক উপাদান মানবদেহের ক্যান্সার কোষ এর বৃদ্বি প্রতিহত করতে সক্ষম।
৩. গাঁদা ফুলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্বিতে ভূমিকা রাখে এবং শরীর কে টিউমার হতে রক্ষা করে।
৪. শরীরের কোথাও কেটে গেলে গাঁদার পাতা পিষে লাগালে রক্ত পড়া ও ক্ষত ভালো হয়।
৫. গাঁদা ফুলের চা নিয়মিত পান করলে মুখের ব্রণ দূর হয়, ত্বক মসৃন হয়, হজম শক্তি বাড়ায়, হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়, আর্থাইটিসের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
৬. গাঁদা ফুল বেটে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ১০/১৫ দিন লাগালে মাথার খুশকি দূর হয়, চুল কালো হয়।
৭. গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়,মুখের ঘা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

গাঁদা ফুলের ৭ উপকারিতা ও ঔষধি গুণ শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন রাজশাহী কলেজ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েমা সুলতানা।

উল্লেখ্য, উদ্ভিদের উপকারিতা, ঔষধি গুণ, ফসলের রোগ পরিচিতি, চাষব্যবস্থাপনাসহ নানান বিষয়ে লিখতে পারে আপনিও। আপনার লিখা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবি, ঠিকানা লিখে মেইলে পাঠিয়ে দিন ([email protected]) লেখাটি আপনার নামে প্রকাশিত হবে। ধন্যবাদ।