আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চাল রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় বিশ্বে অষ্টম স্থানে থাকা কম্বোডিয়া চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) প্রায় ৫ লাখ টনে নেমে এসেছে।

যা খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে কম্বোডিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সাকল্যে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৪০ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।

এ সময় ফ্রান্স, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেনসহ বিশ্বের ৬১ দেশে চাল রফতানি করেছে কম্বোডিয়ার রফতানিকারকরা। তবে গত ১১ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি চীনের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি করেছে।

চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় কম্বোডিয়ার অবস্থান বিশ্বে ১৩তম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল রফতানি হয়।

কম্বোডিয়া বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে কম্বোডিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি হয়েছে।

এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

২০১৬ সালে সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছিল কম্বোডিয়া। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বেড়েছে এক লাখ টন। চলতি বছর শেষে কম্বোডিয়া থেকে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ টন চাল রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।

বছরের শেষ মাসে এসে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানির বাস্তব চিত্র বিবেচনায় নিয়ে এ লক্ষ্য পূরণ কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বণিক বার্তা।