নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নওগাঁয় দফায় দফায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমানে বেশিরভাগ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার। এমনই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন জেলার মান্দা উপজেলার ১১ কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের ২০০ পরিবার ও কয়েক পোল্ট্রি খামারি।
জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার হাঁস-মুরগি। অতিবর্ষণে ওয়ার্ডের চকরঘুনাথ এলাকার পোল্ট্রি খামারি সাইদুর রহমান, আব্দুল খালেক শাহ, ছেফাতুল্যা প্রামনিক এবং গুলবর রহমানের খামার পানিতে ডুবে যায়। এতে দূর্ভোগে পড়ে এসব খামারিরা। এছাড়াও এলাকার কয়েকটি পুকুরে থাকা কয়েক লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে যায়। পানি বন্দি হয়ে পড়ে ২০০ পরিবার।
এসব পোল্ট্রি খামারি এবং মাছ চাষিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যন আব্দুল আলিমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন,‘ প্রায় ২০০ পরিবার এই জলাবদ্ধতার শিকার। এসব পানি নিস্কাসনের জন্য একটি ড্রেন নির্মাণ করলেই এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’
টানা বৃষ্টিতে এলাকার বেশিরভাগ মানুষের চলাচল প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। হাঁটু পানিতে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী খামারি আব্দুল খালেক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ‘ হাঁসের খামার ডুবে গেছে। হাঁস রাস্তার উপরে নিয়ে আসতে হয়েছে। আগে এমন বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিত না। একটা ছোট ড্রেন ছিল। সেটা দিয়ে পাশের নদীতে পানি বের হয়ে যেত। ড্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে। এখন একটা ড্রেন নির্মাণের দাবি জানাই।’
জলাবদ্ধতার শিকার লেয়ার মুরগির খামারি সাইদুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, খামারের ভেতর এক হাঁটু পানি উঠেছে। পানির মধ্যে যাওয়া আসা করা সমস্যা হওয়ায় বাধ্য হয়ে বাড়ির ভেতরে মুরগিগুলো ঠাসাঠাসি করে তুলে রেখেছি। গরম ধরে সবগুলো মুরগি মারা যায় কি না সন্দেহ। একটা ড্রেনের ব্যবস্থা করলেই আমাদের এ ভোগান্তি পোহাতে হয় না। এ ব্যপারে চেয়ারম্যানের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এই খামারি।
আরেক লেয়ার মুরগির খামারি বলেন,‘ মুরগির খাবার আনতে পানির ভেতর নামতে হচ্ছে। এরইমধ্যে কষ্ট করে আনতে হচ্ছে। বিক্রি করার জন্যে আড়তে ডিম নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না ।’
জলাবদ্ধতা বিষয়ে ইউপি মেম্বার (৫) সুলতান আহম্মেদ বলেন, এ জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমার জানা আছে। আগে সেখানে একটা ড্রেন ছিল সেটি বন্ধ হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে দ্রুত ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। চেয়ারম্যান মহোদয় অবশ্যই মানুষের ভোগান্তি দূর করবেন।
জলাবদ্ধতার শিকার ৩০ লাখ টাকার হাঁস-মুরগি ও ২০০ পরিবার বিষয়ে ১১ কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যন আব্দুল আলিম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মানুষের কষ্ট হবে এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। ড্রেন নির্মাণ করে দেওয়া হবে অবশ্যই। আপাতত বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু হবে।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ