আলমগীর আলম, খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ: গরমে ফ্রিজের পানি পানে যেন প্রাণ ফিরে আসে। ফ্রিজ থেকে পানি বের করেই খাওয়া শুরু করে দেই। কিন্তু সাময়িক প্রশান্তি মিললেও শরীরের জন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রভাব ফেলে।

ঠাণ্ডা পানি পানে বেশ কয়েকটি অপকারের মধ্যে রয়েছে গর্ভপাতের ঝুঁকি। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানি পান করার ফলে জরায়ুর সংকোচন হয়। গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সংকোচন গর্ভপাতের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণ পানি স্বাভাবিক অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে; যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এসব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন শরীরের জন্য এরা আর কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে পানি থেকে শরীরের যে খনিজের চাহিদা পূরণ হয়, সেটা অপূর্ণই থেকে যায়।

তাই এই গরমে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানি পান না করে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করা উত্তম। শরীরে শীতলতার জন্য ঠান্ডা পানি নয়, স্বাভাবিক পানি পান করে হজমে সহায়তা, রক্তসঞ্চালনে সামগ্রিকভাবে আপনার শরীরকে বিষক্রিয়া থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে।

এছাড়া ব্যায়ামের পরে ঠান্ডা পানি ক্ষতিকর: ব্যায়ামের পরে তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন শরীরে উচ্চতাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি খেলে তা শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয় না। শরীর ডি–হাইড্রেট হয়ে যায়, যার দরুণ পেশিটানের সমস্যা তৈরি হয়।

দাঁতের ক্ষতি হয়: ঠান্ডা পানি দাঁতের অ্যানামেলের মারাত্মক ক্ষতি করে। গরম থেকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসামাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়। ফলে অ্যানামেলে ফাটল ধরে। এ ছাড়া মাড়িক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণও ঠান্ডা পানি।

জানেন কি ঠান্ডা পানি পানে বাড়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি লেখাটির লেখক খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ আলমগীর আলম। লেখাটি প্রথম আলো থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ