সুমনা আক্তার ইভা, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: থানকুনি আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামনি, ধূলাবেগুন, আদাগুণগুণি ইত্যাদি নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদের মতে থানকুনি রসায়ন গুণসম্পন্ন। আয়ুর্বেদে এটি ত্বাষ্ট্র নামে পরিচিত। থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি এসিড ও ফাইটোকেমিকাল। জেনে নিন থানকুনি পাতার ৯ টি জাদুকরী উপকারিতা।

থানকুনি গাছের বৈশিষ্ট্য :
১. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।
২. ক্ষুদ্র লতা জাতীয় উদ্ভিদ।
৩. পাতা গেলাকৃতির।
৪. পাতার কিনারায় খাঁজ রয়েছে।
৫.এটি অনাবাদী ঔষধি গাছ।
৬. লবণাক্ত আবহাওয়ায় ভাল জন্মে।

ঔষধি গুণাগুণ :
আয়ুর্বেদের মতে থানকুনি রসায়ন গুণসম্পন্ন। আয়ুর্বেদে এটি ত্বাষ্ট্র নামে পরিচিত। থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি এসিড ও ফাইটোকেমিকাল।

উপকারিতা :
১. থানকুনিতে essential oil রয়েছে, যা আমাশয় ও বদহজমজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
২. থানকুনি revitalizer হিসেবে কাজ করে।
৩. থানকুনিতে Bacoside A ও Bacoside B উপাদান মস্তিষ্কের কোষের গঠনেে সহায়তা করে।
৪ চোখের রোগে থানকুনির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
৫. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
৬. জ্বর ও কাশির প্রকোপ হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই।
৮. হজম ক্ষমতার উন্নতিতে থানকুনির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
৯. চুল পড়ার হার কমাতে থানকুনি ব্যবহার করা হয়।

থানকুনি এতো বেশি উপকারী ও ফলদায়ক হওয়ায়, আয়ুর্বেদ মনীষী শিবকালী ভট্টাচার্য তাঁর ” বনৌষধি” গ্রন্থে থানকুনির গুনাগুন উল্লেখ করেন। এছাড়াও ভেষজ উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড. আব্দুল গণি এর মতে, থানকুনিতে বলকারক, রুচিবর্ধক ও হজম বৃদ্ধিকারক গুণ রয়েছে।

থানকুনি পাতার ৯ টি জাদুকরী উপকারিতা শিরোনামে সংবাদের লেখাটি লিখেছেন রাজশাহী কলেজ উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সুমনা আক্তার ইভা।