নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ: সিলেটে এবার দেড়শ টন শিম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইতালিসহ ১৩ দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানা গেছে। সারাদেশের ন্যায় অর্ধশত কোটি টাকা পেরিয়ে অর্থ্যাৎ উত্তরের জনপদ নওগাঁয় ৬১ কোটি টাকার শিম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি শীত মৌসুমে ৮৪৫ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক শিম চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ২০, আত্রাই উপজেলায় ২৫, বদলগাছি উপজেলায় ১২০, মহাদেবপুর উপজেলায় ১০০, পত্নীতলা উপজেলায় ৮০, ধামইরহাট উপজেলায় ৫০, সাপাহার উপজেলায় ৩৫, পোরশা উপজেলায় ৪০, মান্দা উপজেলায় ৫০ এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, এ বছর শুরু থেকেই আবহাওয়া ছিল শিম চাষের অনুকূলে। ফলে রেকর্ড পরিমাণ শিম চাষ হয়েছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় সবেচেয়ে বেশি শিম চাষ হয়েছে ২৭৫ হেক্টর।

চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১০ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন শিম উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি শুরু থেকেই কৃষক দাম পেয়েছে ভালো। কৃষিবিভাগ সবসময়ই কৃষককে সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে সামনের দিনে শিম চাষ আরও বাড়ে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

যুক্তরাজ্য, ইতালিসহ ১৩ দেশে রপ্তানি হচ্ছে শিম

শিম-বরবটি চাষে স্বাবলম্বী কেশবপুরের সিরাজুল

১২ শতকে সপ্তাহে ২ মণ শিম তুলছেন আলমগীর

৪৫ দিনেই ফলন ঝাড় শিমের, লাভ দ্বিগুন

চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা মূল‍্যে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমজুড়ে কৃষি বিভাগের মতে এ বছর কৃষকরা উৎপাদিত শিম বিক্রি করে পাবেন প্রায় ৬১ কোটি টাকা।

চাষিরা বলছেন- ইউরিয়া ও ডিএপি সার প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ৪০০ টাকা, শ্রমিকের মজুরি ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছে। সব মিলিয়ে শাকসবজির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। দাম কমায় উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। চাষিদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সবজি কিনে লাভবান করছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

ধুপাইপুর গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, মৌসুমের শুরুতে সাদা শিম পাইকারিতে প্রায় ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তখন সিমের উৎপাদন কম হতো। এখন উৎপাদন বেশি হচ্ছে তবে দাম কম। সার, ওষুধ ও শ্রমিকের মজুরি দিয়ে গতবারের তুলনায় ফসল উৎপাদনে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ