মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিভিন্ন কারণে মাছের পেট ফোলা রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত পুকুরের তলদেশে অতিরিক্ত জৈব পদার্থ জমা হয়ে গেলে, অধিক ঘনত্বে মাছ মজুদ করলে, পানির পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেলে এই রোগ দেখা দেয়।পাবদা মাছের পেট ফোলা রোগের চিকিৎসা জেনে নিই।

রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় সাধারণত শীতের শুরুতে ও গ্রীষ্মের শুরুতে । এই দুই সময়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

পাবদা মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণঃ
মাছের পেট ফুলে যায়, ফোলা অংশে চাপ দিলে পায়ু দিয়ে পানি জাতীয় তরল বের হয়, চাপ দিলে ফোলা অংশের ভিতর গ্যাস বা তরল কিছু অনুভূত হয়। এই রোগে মাছের মৃত্যু ঘটে থাকে।

প্রতিরোধঃ
অল্প ঘনত্বে মাছ চাষ করতে হবে।
নিয়মিত পানি পরিবর্তন করতে হবে।
পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্য প্রয়োগ করা যাবে না।
এক সপ্তাহ পর পর চুন ও লবণ প্রয়োগ করতে হবে।

আরোও পড়ুন: পাবদা মাছের প্রজনন, পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা-পর্ব ১

পাবদা প্রজননে করণীয়

প্রতিকারঃ
অতিরিক্ত আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট গুলে তাতে আক্রান্ত মাছগুলোকে ২ মিনিট গোসল করিয়ে পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে।

অথবা, প্রতি কেজি খাবারের সাথে ৫ গ্রাম অক্সিটেট্রাসাইক্লিন (বাজারে টেট্রাভেট নামে পাওয়া যায়), ১ গ্রাম ভিটামিন সি ও ২ গ্রাম লেসিফস মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াতে হবে।

পাবদা মাছের পেট ফোলা রোগের চিকিৎসা সংবাদের তথ্য মৎস্য অধিদপ্তর ইশ্বরগঞ্জ ময়মনসিংহ থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ