পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক,এগ্রিকেয়ার২৪.কম  স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। পেয়ারা মুলত বর্ষা মৌসুমের ফল হলেও এখন সারাবছর বাজারে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ এত বেশি যে আমলকী বাদে অন্য কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায় না।পাশাপাশি বহু রোগ প্রতিরোধ করতেও এটি ভূমিকা রাখে।

পুষ্টি উপাদান জলীয় অংশ ৮১.১ গ্রাম, মোট খনিজ০.৭ গ্রাম হজমযোগ্যে আশ ৫.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৫১ কেসি, আমিষ ০.৯ গ্রাম, চর্বি ০.৩ গ্রাম,শর্করা ১১.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০মিলি গ্রাম, লৌহ ১.৪ মিলি গ্রাম,ক্যারোটিন ১০০মিলি গ্রাম,ভিটামিন বি১ ০.২১ মিলি গ্রাম,  ভিটামিনবি২ ০.০৯ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি ২১০মিলি গ্রাম।

জাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো কাজী পেয়ারা, বারি পেয়ারা-২, বারি পেয়ারা-৩ (লাল শাঁশ), বারি পেয়ারা-৪(বীজবিহীন)।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত গুলো হলো- বাউপেয়ারা ১,২,৩,৪,৫,৬, ৭, ৮, ও ৯ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাত গুলো হলো- ইপসাপেয়ারা। এসব জাতের পাশাপাশি অন্যান্য জনপ্রিয় জাতগুলো হলো স্বরূপকাঠি, কাঞ্চন নগর ও মুকুন্দপুরী।

পুষ্টিগুণ প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। বহুবিধ গুনের কারণে পেয়ারাকে মিসরীয় অঞ্চলের আপেল বলা হয়।

ঔষধিগুণ শিকড়, গাছের বাকল, পাতা এবং অপরিপক্ব ফল কলেরা, আমাশয় ও অন্যান্য পেটের পীড়া নিরাময়ে ভালো কাজ করে। ক্ষত বা ঘাতে থেতলানো পাতার প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারার কচিপাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়।

উৎপাদন এলাকা বাংলাদেশের সর্বত্র উৎপাদন হয়। তবে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, গাজীপুর,ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলা উল্লেখযোগ্য।

ব্যবহার টাটকা ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও প্রক্রিয়াজতকরণের মাধ্যমে পেয়ারা থেকে জ্যাম ,জেলি ও জুস তৈরি করা হয়।