পোল্ট্রির স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ

পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পোল্ট্রি ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে খাবার ব্যবস্থাপনায় অবশ্যই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে পোল্ট্রির স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ পানির গুরুত্ব ও ব্যবহারের নিয়ম ভালো করে বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়াও জরুরি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা।

প্রতিটি প্রাণির বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশকীয় উপকরণ হল পানি। সারাবিশ্বে শুধু মানুষের কথা চিন্তা করলেও অনেক মানুষ বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। তাহলে যেখানে সব মানুষই শতভাগ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সেখানে প্রাণির জন্য নিরাপদ পানির ব্যাপারটি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে।

মুরগীর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য উপাদান হল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পানি। কিন্তু সবসময় শতভাগ নিরাপদ পানি পাওয়া বেশ কঠিন। পানির পরিচ্ছন্নতা এবং হাইজিনের বেশ কয়েকটি স্তর আছে।

অনেকে শুধু মনে করেন পানি দেখতে স্বচ্ছ এবং দুর্গন্ধ না থাকলে তা বিশুদ্ধ পানি। পরিষ্কার ঝকঝকে পানিতেও অনেক সময় গোপন শক্রু বা জীবাণু থাকে। যা আমরা স্বাভাবিক ভাবে দেখতে বা বুঝতে পারিনা। এটিও অনেক সময় বিপদের কারণ হয়ে উঠে।

পোলট্রি স্বাস্থ্যের অন্যতম মৌলিক বিষয় হল পানির গুনগতমান।   এপ্লাইড ব্যাকটেরিয়াল কন্ট্রোল (এবিসি) এর মতে পানির গুণাগুণ বাচ্চার ভাল পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও পরিবেশে মুরগী সাধারণত ফিডের চেয়ে দ্বিগুণ পানি গ্রহণ করে থাকে। পানি পরিপাকে, পুষ্টি সরবরাহ, দৈহিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য পদার্থ বের করতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে। এটি ফার্মের কর্মদক্ষতা এবং পোলট্রি স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব রাখে।

ফার্মের পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ পানি সরবরাহের জন্য দুই ভাবে ভাগ করা যায়:

১. বিশেষ পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা। ২. অনবরত পানির পরিচ্ছন্নতা ধরে রাখা যেমন অর্গানিক এসিডস।

অনেক ফামার্স তাদের ফার্মের কর্মদক্ষতা বা লাভজনক অবস্থা পর্যবেক্ষণের সাথে সাথে পানির গুণাগুণ নিয়মিত পরীক্ষা করে থাকে।

প্রতিটি খামারী সাধারণত একটি ফ্লক শেষ হওয়ার পর পানি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমকে ভালভাবে পরিষ্কার করে থাকেন। এই নিয়মের মধ্যে একটু বিশেষ যত্ন গ্রহণ করা হলে তা নিরাপদ পানির পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে।

প্রতিটি পদ্ধতির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি ভালভাবে অন‚সরণ করা হলে কাজের ফলাফল ভাল হয়। যে উপকরণ ব্যবহার করে বায়োফ্লিম পরিস্কার করা হয় তা দীর্ঘ সময় অপ্রয়োজনে রাখলে আবার তলানী পড়ে যার ফলে পরবর্তীতে তা ধুয়ে ফেলা বেশ কষ্টকর হয় এবং পরিচ্ছন্নতার কার্যকারীতা হ্রাস পায়।

পানি পরীক্ষা করা: পানির গুণাগুণের উপর বার্ডের পানি গ্রহণ এবং পানির পিএইচ পানির স্বাদ এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ক্ষারীয় পানি পছন্দ করে অন্যদিকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া অম্লীয় পানিতে বেশী বাড়ে।

পানিতে অতিরিক্ত ক্ষারীয় পিএইচ থাকলে তা ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের কার্যকরীতা অনেকটা কমিয়ে দেয়। অপরদিকে খুব বেশী অম্লীয় হলে পানির স্বাদ কমে পানির গ্রহণ অনেকাংশে কমে যায়। পানি পরীক্ষা করে পোলট্রিতে পানি সরবরাহ করা উচিত।

পোলট্রির পানির পাত্র এবং পানির পুরো সিস্টেম পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকে হয়ত মনে করেন এটা শুধু ব্যাচ শুরু হওয়ার সময় করবে আবার শেষ হলে একবার। এই ধারণা ভুল। কারণ নিয়মিত পানিতে বায়োফ্লিম জমা হয় পানির পাইপ লাইন, পানির পাত্র প্রভৃতিতে। পানিতে বায়োফ্লিম জমা হলে ওষুধের কার্যকরিতা কমে এমনকি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে কাজ করে।

পানিতে ওষুধ দেয়ার পূর্বে বায়োফ্লিম পরিস্কারের ব্যবস্থা করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। ভিটামিন ও অনান্য মেডিসিন পরিচ্ছন্ন পানিতে ভাল কাজ করে। প্রয়োজনে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।

অর্গানিক এসিডস: অনান্য সকল উপকরণের ছাড়াও ফিড প্রস্তুত কারীদের জন্য অর্গানিক এসিড ব্যবহারের উপর মনোযোগ দিতে হবে কারণ ফিডে এমাইনো এসিড গাট মাইক্রোফ্লরাকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। মুরগী পানির সাহায্যে কোন ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করলে তা পোলট্রির স্বাস্থ্য ঝুকি নেয়া উচিত হয়না।

অর্গানিক এসিড ব্যবহারের তিনটি বিশেষ উপকারিতা

১। তারা পানিকে বিশুদ্ধ করে থাকে। ২। চুনকে ভাঙ্গতে সহায়তা করে। ৩। পোলট্রি গাট হেলথকে ভাল রাখে।

পানির পিএইচ কমাতে অর্গানিক এসিড বেশ উপকারী। পানি পরিস্কার করণ উপকরণ যেমন ক্লোরিনের সাথে অর্গানিক এসিড ব্যবহারে পানির পিএইচ কমাতে সহায়তা করে। এভাবে মুরগীর জন্য আদর্শ পিএইচ ৫.৫ রাখা যায়। তাছাড়া যদি পানিতে এসিড ব্যবহার করা হয় তখন পানির পিএইচ ৩.৮ হতে ৪.২ পর্যন্ত রাখতে হয় যেন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো পানি হতে দ‚রীভ‚ত হয়ে যায়। পোলট্রি এসিডিক পানি সম্পূর্ণ সহ্য করে এবং পছন্দ করে। কিন্তু যদি তা ৩.৫ পিএইচ এর নীচে আসে তাহলে তা গাট এর লাইনিং নষ্ট করে দেয়ার ঝুঁকি থাকে।

বাফেরেড বা প্রটেকটেড এসিডের ব্যবহার: পানিতে যে এসিড ব্যবহৃত হচ্ছে তা বাফারেড বা প্রটেকটেড কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ গাটে গিয়ে এসিড ব্যাকটেরিয়ার সেল ওয়াল দিয়ে পাস হয় এবং তা বহিচ্ছেদ ঘটায় এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যের পিএইচ কমিয়ে দেয়।

বিস্তৃত সীমানার অর্গানিক এসিড এর সহজলভ্য হচ্ছে ফর্মিক এসিড এবং প্রোপায়োনিক এসিড যা সালমোনেলা এবং ই-কোলাই নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। অন্যদিকে ল্যাকটিক এসিড এবং বিউটাইরিক এসিড গাট মাইক্রোফ্লোরার উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে।

নিরাপত্তার জন্য ডোজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা: এসিড, ক্লোরিন এবং অন্যান্য স্যানিটেশন উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হলে তা আরো ভয়ানক হতে পারে। ফ্লকের জন্য কি পরিমাণ উপকরণ লাগছে তা ভালভাবে হিসাব করে রাখতে হবে। যেন কোনভাবে এর বেশি হলে পানির প্রকৃতি গুণাবলিতে মারাত্বক নীতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

মুরগীর সর্বাধিক উৎপাদনের জন্য পানিতে প্রোবায়োটিক ও ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এমন উপকরণ দেয়া হয়। এতে করে গাট এর স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে বিশোধন উপকরণ অতিমাত্রায় দেয়া থাকলে প্রোবায়োটিক এর কার্যকরিতা কমে যায়। এক্ষেত্রে পরামর্শ প্রোবায়োটিক দেয়ার সময় পানিতে স্যানিটাইজার বেশি করে দেয়া ভাল।

পানির লাইন পরিস্কার ও পরিছন্ন করার পরেই ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। পানি জমা করে রাখার পরে তাতে ক্লোরিন ও অর্গানিক এসিড ব্যবহার করে পানির গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানো হয়।

পানির পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে ই-কোলাই এর প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমানো সম্বব। প্রয়োজন ছাড়া ব্রুডিং এ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার ও দীর্ঘ সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে পরিচ্ছন্নতা ও বায়োসিকিউরিটি বাড়িয়ে ই. কোলাই সহ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করা যাবে। এতে করে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো সহজে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারবেনা।

পোলট্রির পানি সরবরাহ: ব্রিডারের জন্য পর্যাপ্ত, পরিষ্কার ও ফ্রেস পানির সর্বাক্ষনিক সরবরাহ রাখতে হবে। সাধারণত পোলট্রি খাবারের চেয়ে বেশি পানি পান করে। ২১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি এবং ফিডের অনুপাত ১.৬-১.৮ঃ ১ (পানিঃ ফিড, কম অনুপাত হয় নিপুল ড্রিংকারের ক্ষেত্রে এবং সর্বোচ্চ অনুপাত বেল টাইপ ড্রিংকারের ক্ষেত্রে)। ডিম পাড়ার সময় এ পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যায়। ফিড গ্রহণ পরিবেশের তাপমাত্রার কারণে পানি গ্রহণের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়।

পানির ব্যবস্থাপনা সিস্টেম পরিস্কার করার নিয়ম: ট্যাংকের পাইপ এবং মুখ খুলে দিতে হবে। লাইনকে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুতে হবে। উপরের ট্রাংকে কোন ময়লা থাকলে তা ঘসে ঘসে পরিষ্কার করে, আবরণ উঠিয়ে বাইরের লাইন দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে।

ট্রাংকের পানি খালি করার পর পুনরায় বিশুদ্ধ পানি ভর্তি করে। উপযুক্ত পানি পরিশুদ্ধকারী উপকরণ মিশিয়ে দিতে হবে। সঠিক মাত্রায় জীবাণুনাশক মিশিয়ে সকল লাইনে পানি প্রবাহিত করতে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোন বাতাস না থাকে। স্যানিটাইজার উপকরণ ড্রিংকারের মধ্যে গেলে কোন ক্ষতি হবে কিনা জেনে নিতে হবে।

উপরের ট্রাংকে স্বাভাবিক ভাবে লাগিয়ে উপযুক্ত জীবাণুনাশক প্রয়োগ করে অন্তত ৪ ঘন্টা রাখতে হবে। প্রয়োজনে পানির ঢাকনা পরিবর্তন করতে হবে। জীবাণুনাশক যুক্ত পানি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার ফ্রেস পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে হবে।

বাচ্চা উঠানোর পুর্বে ফ্রেস পরিষ্কার পানি পূর্ণ রাখতে হবে। পানির পাইপের মধ্যে বায়োফ্লিম এর স্তর জমে যায়। এতে করে পানির প্রবাহ কমে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন হতে পারে। নিয়মিত এই ফ্লিম পরিস্কার করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত প্লাস্টিক এবং এলকাথেন পাইপে তুলনামূলকভাবে দ্রæত এই স্তর জমা হয়। পানিতে ভিটামিন এবং মিনারেলের ব্যবহার করলে এই স্তর জমার প্রবনতা বাড়ে।

শারীরিক চেষ্টার মাধ্যমে সব সময় এই স্তর পরিস্কার করা সম্বব হয়না। ফ্লকের মধ্যে এই বায়োফ্লিমের স্তর দূর করতে বেশি মাত্রায় ক্লোরিন (১৪০ পিপিএম) বা পার অক্সিজেন যৌগ ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বাচ্চা পানি পান করার পূর্বে বারবার পানি প্রবাহ বাড়িয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

ভিটামিন মিনারেলের পরিমাণ বেশি হলে (ক্যালসিয়াম) অনেক সময় এসিড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। ধাতব পাইপ ঠিক একইভাবে পরিষ্কার করা হয় কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ছিদ্র হতে পারে।

পানির মান নিয়ন্ত্রণ: পানি কোন অর্গানিক উপাদান বা সন্দেহজন বস্তু মুক্ত হওয়া উচিত। নিয়মিত পর্যাবেক্ষণ করে এই মান এবং জীবাণু মুক্ত কিনা দেখতে হবে। বিশেষত পানি অবশ্যই সিউডোমোনাস এবং ইসচেরিচিয়া কোলাই মুক্ত হতে হবে। পানিতে প্রতি মিলিতে ১টা কলিফর্ম জীবাণুর বেশি হওয়া উচিত নয় এবং যদি প্রতি মিলি পানিতে ৫টার বেশি কলিফর্ম জীবাণু থাকে তবে তা ব্যবহার করা যাবেনা।

পোলট্রির ক্ষেত্রে পানির গুণাগুনের তালিকা টেবিল ২৭ এ দেয়া আছে। যেখানে পানি প্রধান উৎস থেকে সরবারহ হয় সেখানে পানির কোয়ালেটি বা গুণ মোটামুটিভাবে ভাল থাকে। কুপ বা গর্তের পানিতে নাইট্রোটের পরিমাণ এবং ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি থাকে। কারণ আবাদী জমি থেকে সার সংক্রমিত হওয়ায় এসবের পরিমাণ বেশি। যে পানিতে ব্যাকটেরিয়ার লোড বেশি সেখানে যতটা সম্ভব পানি পরিশোধিত করতে হবে। ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্লোরিনেশন পদ্ধতিতে ৩-৫ পিপিএম মুক্ত ক্লোরিনের ব্যবহার খুবই কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে কোন ক্লোরিন ব্যবহার করা হয় তা লক্ষ্যনীয়।

অতিবেগুনী রশ্মিও পানি জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কো¤পানীর নিয়মিত মেনে চলা আবশ্যক।

পানিতে বেশি আয়রণ বা লোহা যাকে (হার্ড ওয়াটারও বলা হয়) থাকলে ড্রিংকারের লাইনে এবং ভালপে বকেজ সৃষ্টি করে। এর তলানী পাইপের মধ্যে ছিদ্র কমিয়ে দেয়। এসব পানিতে ৪০-৫০ মাইক্রোনের ফিলটার বা ছাকুনি ব্যবহার করতে হয়। আয়রণ বেশি পানি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই এইসব পানিতে ডিম পরিস্কার করা উচিত নয়।

প্রতিবছরে অন্তত এক বার করে সব পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করা উচিত। আর যেখানে উৎপাদনে ত্রæটি বা পানির সমস্যা সেখানে আরো বেশি ও নিয়মিত পানি পরীক্ষা করা উচিত। শেড পরিস্কার করার পর এবং বাচ্চা উঠানোর পুর্বেই পানির উৎস, ট্রাংক এবং ড্রিংকার পয়েন্টের পানির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

পোল্ট্রির স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ পানির গুরুত্ব ও ব্যবহারের নিয়ম শিরোনামের লেখাটির লেখক প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি), উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সংগ্রহ করা হয়েছে কৃষিকথা থেকে।