মৎস্য মেলায় রেডিয়েন্ট ফিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মৎস্য মেলায় রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়ামে প্রবেশমূল্যে অর্ধেক ছাড় দেয়া হচ্ছে। চেনা, অচেনা ও বিলুপ্তপ্রায় অসংখ্য মাছের সমাহার। কাচের ঘরে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের চলছে খেলা। যেন ফুঠে ওঠেছে সাগরতলের রহস্য।

বিশাল আকৃতির এমন মাছের এ্যাকুরিয়াম বা যাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে কক্সবাজারে। রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়ামটি জাদুঘরের আদলে তৈরি হওয়ায় সবার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে।

শুধু বিনোদনের খোরাকই নয় সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার জন্যেও একটি শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড অ্যাকুরিয়াম।

কক্সবাজারের ভ্রমণপিপাসুদের জন্যে এই এ্যাকুরিয়ামটি ভিন্নমাত্রা এনেছে। সাগর দেখার পাশাপাশি ভ্রমণপিপাসুরা চাইলেই সহজেই দেখে আসতে পারেন রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড এ্যাকুরিয়ামটি।

বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বমানের এ্যাকুরিয়ামটি দর্শন করতে টিকিট এর মূল্যে রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। তবে রাজধানী ফার্মগেট সংলগ্ন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে চলা কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় বুকিং দিলেই অর্ধেক মূল্য ছাড় মিলছে।

বুকিং দিয়েই সঙ্গে সঙ্গে যেতে হবে এরকম নয় এই বুকিংয়ের মেয়াদ থাকবে প্রায় এক বছর। যে কেউ চাইলে মৎস্য মেলায় এসে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন। ফার্মগেটে এ মেলা চলবে আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত।

মেলায় প্রবেশ করে সোজা কয়েকধাপ দিলেই বাম পাশে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড এর প্যাভিলিয়ন দেখা যাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বুকিং নিচ্ছেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে।

এ্যাকুরিয়ামটির প্রতিষ্ঠাতা ও রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, মানুষ সাগর সম্পর্কে জানার জন্যে কত জায়গায় যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদরে এই ফিস ওয়ার্ল্ড এ তার সবকিছু পাচ্ছেন।

এছাড়া মাছ যে বিনোদনের বিষয় তাও তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ আপনি এক ছাদের নিচে ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে যা দেশের বাইরে দেখতে যান তা আপনার পাশেই আমরা তৈরি করেছি।

মৎস্য মেলায় রেডিয়েন্ট ফিশ-01

অ্যাকুরিয়ামটি পরিদর্শন করা কয়েকজনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। দর্শনার্থীরা জানান, এখানে নানা রকম সামুদ্রিক মাছ রয়েছে। পাঁচতলাবিশিষ্ট ভবনজুড়ে রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। শিল্পীর তুলিতে সাজানো হয়েছে সবকিছু।

সাগরের পাহাড়, গুহা, তলদেশ, উঁচু নিচু আর এলোমেলো সাগর পথ তৈরি করা হয়েছে অ্যাকুরিয়ামে। দেখতে দেখতে যে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিপার করে দিতে পারেন।

অ্যাকুরিয়ামে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ, ডান-বামে মাছের বিচরণ। অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছের ভিতর দিয়ে পথ চলতে হবে। তবে হঠাৎ হাঙ্গর সামনে এসে উপস্থিত হয়ে যেতে পারে। মানুষখেকো মাছ পিরানহা ধারালো দাঁত খুলে হা করে ছুটে আসতে পারে।

গায়ে লেগে যেতে পারে কুচিয়া, কচ্ছপ, কাঁকড়া, আউসসহ সাগরের তলদেশের নানা কীটপতঙ্গ। এরমাঝে সাগরের তলদেশের গাছপালা, লতাপাতা, গুল্ম, ফুল গায়ে পরশ লাগিয়ে দেবে। পর্যটকদের জন্য এই রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট গ্রুপ।

ইতিমধ্যে দেশের সব বরেণ্য ব্যক্তিরা এ্যাকুরিয়াম দর্শন করে গেছেন। মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষই এ্যাকুরিয়ামটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

মৎস্য মেলায় রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড অ্যাকুরিয়ামে প্রবেশমূল্যে অর্ধেক ছাড় দেয়ায়া দর্শনার্থীরাও খুশি। অনেকেই বুকিং দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: মৎস্য খাতে অবদানে যে ১৭ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাচ্ছে