নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর পেঁয়াজের বাজারে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পেঁয়াজের বাড়তি দাম ও মজুদদারি ঠেকাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন।

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) সকাল থেকে মহানগরীতে ৬টি টিমসহ প্রত্যেক উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর সাহেব বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বাড়তি দাম না নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

অবশ্য তারা চলে যাওয়ার পর আবারও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য। জেলাজুড়ে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করছে। অশুভ পন্থা অবলম্বনকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চলবে।

পেঁয়াজের দাম বেশি নিলেই জরিমানা

পেঁয়াজের দাম বেশি নিলেই জরিমানা। রাজশাহীর পেঁয়াজের বাজারে অভিযান ( জরিমানা) শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।পেঁয়াজের বাড়তি দাম ও মজুদদারি ঠেকাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন।আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) সকাল থেকে মহানগরীতে ৬টি টিমসহ প্রত্যেক উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর সাহেব বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বাড়তি দাম না নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।অবশ্য তারা চলে যাওয়ার পর আবারও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য। জেলাজুড়ে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করছে। অশুভ পন্থা অবলম্বনকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চলবে।

Posted by AgriCare24.com on Wednesday, September 16, 2020

সরেজমিনে ক্রেতা- বিক্রেতাদের সাথে বলে জানা যায়, ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। তারা কিনছেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ।

আরও পড়ুন: নওগাঁয় তিন পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নাজিম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, মানুষ এককেজির জায়গায় কিনছে ৫ কেজি। কিছুক্ষণ আগেই ৩৯০ টাকা পাল্লা ( ৫ কেজির দাম ৩৯০) টাকা দরে বিক্রি করলাম। দেখতে দেখতেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এখন ৪১০ টাকা পাল্লা বিক্রি করছি।

মরিচের ঝাল কমেছে। প্রতিকেজি মরিচ রাজশাহীর কাঁচা বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে দেড়শ টাকা কেজি। এতে ক্রেতাদের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

আব্দুল হাকিম কাঁচা সবজি কেনার জন্য আসেন সাহেব বাজারে। খালি ব্যাগ নিয়ে বেশ কয়েক দোকানে সবজির দাম জিজ্ঞাসা করছিলেন। কথা হয় এগ্রিকেয়ার২৪.কমের সাথে।

এই ক্রেতা জানান, বাজারে আলু ৩৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা। শাকের আঁটি পর্যন্ত ২৫ টাকা কেজি। বাজারে যে ভাবে দাম বাড়ছে তাতে দেশে থাকার উপায় নেই। ভিন্নগ্রহে যেতে হবে। পেঁয়াজের দাম আবারও তিনশ লাগবে এটা হলফ করে বলা যায়। ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি। দেশটা কি মগের মুল্লুক!

তিনি আরো বলেন, সরকার বাজারে টিসিবি দিবে আমরা সেখান থেকে কিনব। ব্যবসায়ীদের গুদামভর্তি পেঁয়াজে রেট দেওয়া দরকার। খুচরা বিক্রেতাদের ওপর জরিমানা জুলুম না করলেই তো হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ