ডাঃমোঃ শাহ্-আজম খান, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের মতই পোল্ট্রি/ডেইরী শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা কে গতিশীল করে রেখেছে প্রায় দুই যুগ ধরে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই শিল্পকে নিয়ে দেশের নীতিনির্ধারকদের কোন সময়ই সু-দৃষ্টি ছিলো না। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে পোল্ট্রি ও ডেইরী শিল্প।

এই সেক্টরের সাথে দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষের জীবিকা সরাসরিভাবে বা পার্শ্বীয় ভাবে জড়িত। দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এই পোল্ট্রি/ডেইরী শিল্পের ভূমিকা অতুলনীয়। লক্ষ লক্ষ বেকার শিক্ষিত যুবক এই পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সরাসরিভাবে জড়িত। তাদের সাথে জড়িত তাদের পরিবার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের বাস্তবিক রূপ হলো ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’।একদিকে দেশের অভিভাবকরা বলছেন- চাকুরীর পিছনে ছুটো না! উদ্যোক্তা হও। অন্যদিকে এই সেক্টরের দিন দিন বেহাল দশা!
এই সেক্টরে উদ্যোক্তা তৈরি হবে কিভাবে? টিকেই বা থাকবে কি ভাবে?

একদিকে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারনে পোল্ট্রি ফিড/ডেইরী ফিডের দাম পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অন্য দিকে রেডি ব্রয়লার, সোনালি মুরগীর দাম দিন দিন কমছে! দুধের ন্যায্য মুল্য থেকে খামারীরা বঞ্চিত হচ্ছে! এভাবে আর কতদিন?

দেশের এই বড় শিল্প পোল্ট্রি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? কেন খামারীরা ব্রয়লার-সোনালীর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে?
পোল্ট্রি/ডেইরী শিল্প এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। এভাবে আর কতদিন চলবে? আর কিছুদিন এই অবস্থা থাকলে এই শিল্পকে বিদায় জানাতে তৈরি থাকুন। এর সাথে সাথেই তৈরি থাকুন এই শিল্পের সাথে জড়িত দেশের কোটি কোটি বেকার মানুষের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য।

অতএব সময় থাকতেই প্রান্তিক খামারিদের বাঁচানোর পথ খুঁজে বের করতে হবে সকলকে। যৌথ উদ্যোগে দেশকে বেকারমুক্ত করতে কৃষি, প্রাণিজ পণ্যের সিন্ডিকেটমুক্ত বাজারব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে আর দেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।

লাইফ সাপোর্টে পোল্ট্রি ও ডেইরী শিল্প লেখাটি লিখেছেন ডাঃমোঃ শাহ্-আজম খান, ডিভিএম, এমএস ইন এনিমেল সায়েন্স (হাবিপ্রবি) সিনিয়র কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ