ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শসা সবজি নয়। উদ্ভিদবিজ্ঞানের সঙ্গানুসারে এটা একটি ফল।সালাদ হিসেবে শসা বেশ জনপ্রিয়। এটি শুধু শরীর ঠান্ডা রাখে না; এর রয়েছে পুষ্টিগুণ এবং অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আসুন শসার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই:

পরিচিতি:শসা গোর্ড পরিবার কিউকারবিটাসের অন্তর্গত একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ। শসা এক প্রকারের ফল। লতানো উদ্ভিদে জন্মানো ফলটি লম্বাটে আকৃতির এবং প্রায় ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এর বাইরের রঙ সবুজ। তবে পাকলে হলুদ হয়। ভেতরে সাদাটে সবুজ রঙের হয়, এবং মধ্যভাগে বিচি থাকে।

আরও পড়ুন:জেনে নিন জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিগুণ: শসায় রয়েছে ভিটামিন কে, সি, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, রাইবোফ্লাভিন, বি সিক্স, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক প্রভৃতি। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতেও এর জুড়ি নেই। এ ছাড়া খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও উপকারী ভূমিকা পালন করে। ১০০ গ্রাম শসাতে থাকে ১৩ ক্যালরি।

উপকারিতা:
হাড় মজবুত করে: শসাতে আছে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত রাখে। ভিটামিন কে হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।

হজমে সহায়তা: শসার ভিটামিন, খাদ্য আঁশ এবং পানি খাবার হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন শসা খাওয়া হলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।

চুল ও নখের উন্নতি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং এর প্রভাব দেখা যাবে চুল ও নখে।

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: শসাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই তিনটি উপাদান হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত শসা খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমায়: ভিটামিন বি ওয়ান, ভিটামিন বি ফাইভ এবং ভিটামিন বি সেভেন শসাতে পাওয়া যায়। যা উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।

আর্দ্রতা রক্ষা: শসার ৯৫ শতাংশই পানি যা শরীর আর্দ্র রাখতে ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পানি পানের কথা ভুলে গেলেও প্রতিদিন শসা খাওয়া হতে পারে উপকারী।

আরও পড়ুন: জেনে নিন ভুট্টার ভেষজ গুণ ও উপকারিতা

ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল করে: এর ঠাণ্ডা ও আর্দ্র রাখার উপাদান মলিন ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন বি-নায়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি এবং জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে। বিউটি ক্রিমের বদলে নিয়মিত শসা খাওয়া ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক।

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা: শসাতে আছে ফসফরাস যা হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী মূল পুষ্টি উপাদান। শসাতে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস থাকে যা প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রয়োজন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শসা রাখুন।

শসার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি