নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রকল্পের কাজ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। প্রকল্পের সবটুকু কাজ বুঝে নিতে হবে।”

এছাড়াও, অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

আজ রোববার (১০ জানুয়ারি২০২১) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠা প্রত্যাশা করি। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। দ্রুতগতিতে প্রকল্প গ্রহণ করে শুধু কেনাকেটা না করে সেটা বাস্তবে দেশের মানুষের কাজে আসছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতার পরিচয় দিলে প্রকল্প নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আলোচনা হবে না।”

আরোও পড়ুন: প্রণোদনার নামে খামারিদের টাকা লোপাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার

তিনি আরো যোগ করেন, “ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। প্রকল্পে প্রস্তাবিত মূল্য বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে। প্রস্তাবে কোন ধরণের অসংগতি মেনে নেয়া হবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোন কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইচ্ছেমতো শর্ত জুড়ে দেয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২টি প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ।

সরকারি স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোন কিছু করা যাবে না সংবাদের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ