আরিফ রহমান, ফটো সাংবাদিক, বরিশাল, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাগর তীরে ও নদী মোহনায় মশারী নেট দিয়ে চিংড়ি রেনু পোনা নিধনের উৎসব চলছে। এর সাথে ধ্বংস হচ্ছে লাখ লাখ অন্য প্রজাতির মাছের পোনা।

এ কাজে শিশু ও নারী শ্রম জীবিদের সংখ্যা বেশি। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ জাল দিয়ে মাছ আহরন নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে নিধন করছে রেনু পোনা।

যে শিশুদের বিদ্যালয়মুখি হওয়ার কথা আজ তারা জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মায়ের সাথে ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগর ও নদীর তীরে মাছের পোনা ধরতে ব্যস্ত রয়েছে।

পোনা নিধনের কারনে সাগর ও নদী মৎস্য শুন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

উপজেলা মৎস্য বিভাগের দাবী ১৫ দিনে নদী ও সাগরে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

বুধবার (২১ মার্চ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শত শত শিশুরা মশারীর তৈরি জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরছে। তাদের সাথে আলাপ করলে জানায়, “প্রতিদিন আমরা সবাই এখানে পোনা ধরি। রোজ দুই/তিনশ টাকা আয় করি”।

চিংড়ির রেনু ধরার সাথে অন্য প্রজাতির পোনা জালে ধরা পরলে তা পানিতে না ফেলে মাটিতে ফেলে দেয়ায় ধবংস হয় অন্য প্রজাতির পোনা। লেম্বুরচর, আন্ধারমানিক মোহনা, শিববাড়িয়া খাল, শুটকি পল্লী, নারিকেল বিথি, ঝাউবন, গঙ্গামতি, ধোলাই মার্কেট, কাউয়ার চর, রামনাবাদ মোহনা, কাটাবাড়ানি ও ফাতরার চরসহ অর্ধ শতাধিক পয়েন্টে দিন রাত চলছে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ। এর সাথে ধংস হচ্ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এর ফলে হুমকির মুখে পরবে মৎস্য সম্পদ এবং দেশের ক্ষতিগ্রস্থ হবে অর্থনীতিতে।

মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, ২০০০ সাল থেকে এসব রেনু পোনা ধরা নিষিদ্ধ করা আছে। জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে বিষয়টি দেখভালো করছেন।

এছাড়া তাদের নির্দেশ আছে আছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার। তবে আমি এখন আবার জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।