মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নতুন সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সোমবার (৭ ডিসেম্বর,২০২০) দুপুরে মৎস্য আইন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন পরিষদ।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান এতে লিখিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নতুন আইনের ধারা-উপধারা ব্যবসাবান্ধব হয়নি বরং ব্যবসায়ীদের ওপর খড়গ চাপানো হয়েছে। বিভিন্ন ধারা সাংঘর্ষিক, যা সংশোধন করা প্রয়োজন। কিছু ধারা বর্তমান ফৌজদারি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, শাস্তির বিধান অনেক বেশি কঠিন করা হয়েছে। লঘু অপরাধের জন্য গুরু দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইনের বিভিন্ন ধারা এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: শীতকালে মাছের ক্ষত, লেজ ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে করণীয় (ভিডিও)

পাবদা মাছের পেট ফোলা রোগের চিকিৎসা

আইনের কঠোরতার কারণে ট্রলারে কর্মরত স্কিপার, সেইলর ও কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর মাছ আহরণ বন্ধ রেখে সাগর থেকে চট্টগ্রাম ফিরে এসেছে। মাছ আহরণ মৌসুমে ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। একদিকে ট্রলারের খরচ অন্যদিকে ব্যাংকের দেনা শোধের ঝুঁকি সামাল দিতে হচ্ছে।

গভীর সমুদ্রে মাছ ও চিংড়ি আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, দেশের অভ্যন্তরে আমিষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একক সংগঠন এ অ্যাসোসিয়েশন। সরকারের সুনীল অর্থনীতি স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে সংগঠনটি। মা চিংড়ি আহরণ করে হ্যাচারিতে সরবরাহ করায় এ শিল্প বিকাশ লাভ করেছে। খামারে ঘেরে উৎপাদিত চিংড়ি ও মাছ ১৫০টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি হচ্ছে, যা ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক মো. আবদুল ওয়াহেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সামুদ্রিক মৎস্য আইন সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শিরোনামে সংবাদের তথ্য বাংলা নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি