১২৫ উপজেলার নদীতে ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এখন দেশের ১২৫ উপজেলার নদীতে ইলিশ মিলছে, ১০ বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি ৭৮%। ‘ইলিশ উৎপাদনবৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদনিরুপন, এবং জাটকাসংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতির পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় দেশের নদীতে ইলিশের উৎপাদনের এ সফলতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের (BFRI) উদ্যোগে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালাটি।

বক্তারা ১২৫ উপজেলার নদীতে ইলিশ মিলছে, ১০ বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি ৭৮% উল্লেখ করে জাটকা ইলিশের যথাযথ বৃদ্ধি ও মা-ইলিশের প্রজননের স্বার্থে দেশের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বেষ্টিত ৬টি অভয়াশ্রম রক্ষার প্রজননের ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছেন।

তারা বলেন, এসব প্রধান প্রজনন কেন্দ্রের ৫টিতে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস এবং আন্ধারমানিকের অভয়াশ্রমে নভেম্ভর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ মাছ জাটকাসহ সকলপ্রকার মাছ ধরা বন্ধ করার ফলে ইলিশের গড় আকার ও ওজনসহ প্রাকৃতিক প্রজনহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এখন বড়বড় ইলিশ পাচ্ছি।

বক্তারা আরো বলেন, ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদীতেই ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে।

ইলিশের বংশরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রজননক্ষেত্রসহ জাটকার বিচরণক্ষেত্ররক্ষা এবং সকল অবৈধ জালের কারখানা বন্ধ করতে হবে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলেও এসব সাফল্য ধরে রাখা যাবে না বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: ইলিশের সাথে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন
থাই পাঙ্গাসের আগাম ব্রুড তৈরী, কৃত্রিম প্রজননে রেণু উৎপাদনে সফলতা

প্রধান অতিথি চাঁদপুরসহ দেশের সকল ইলিশের অভয়াশ্রমে অবৈধ জালের মাধ্যমে মৎস্যশিকারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতাসহ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮%।

প্রতিমন্ত্রী খসরু জাটকা ইলিশের পাশাপাশি মা-ইলিশের যথাযথ সংরক্ষণে প্রশাসনসহ জেলেদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জাটকা ধরাবন্ধের ৮ মাস এবং মা-ইলিশ ধরাবন্ধের ২২দিন জেলেদের খাদ্যসহায়তাসহ বিকল্প করমসংস্থানের ব্যবস্থার পরও ইলিশের ক্ষতির জন্য যারা অবৈধ জাল উৎপাদন করে জেলেদের বিপথে চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

তিনি জাল উৎপাদক ও দাদনদারদের খপ্পরে না পড়ার জন্যও জেলেদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ২টি মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক অফিসার ড আশরাফুল আলম ও মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার মনোয়ার হোসেন।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল ও মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শাহ আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।