সৈয়দ সরোয়ার, ফিসারীজ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ চাষে সফলতা পেতে একেবারে শুরুর প্রস্তুতি থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপই ভালো করে সম্পাদন করতে হবে। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে নতুন বছরের মাছ চাষ। ২০২০ সালের মাছ চাষের শুরুর প্রস্তুতিতে যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা নিচে তুলে ধরা হলো।

রেণু পোনা চাষের মাধ্যমে যারা মাছ করে থাকেন তাদের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর যারা পোনা চাষ করবেন তাদের এখনি পুকুর প্রস্ততির কাজ শুরু করে দেয়া উচিত। কমপক্ষে হাতে ১৫ দিন সময় নিয়ে বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে। কোন তারাহুড়া করা যাবে না।

গত বছরে যারা অতি ঘনত্বে মাছ চাষ করেছেন তাঁরা অনেকে দেখেছেন কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই গত বছর কাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে আশা করি এ বছরে সে ভূল আর করবেন না।

মনে রাখতে হবে, পুকুর ভালোভাবে তৈরি করার পর পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরিতে সময় দিতে হবে।

এরপর ছোট একটি হাপা বানিয়ে যে ধরণের মাছ মজুদ করবেন, সে রকম কিছু পোনা হাপায় রেখে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করবেন। এই ২৪ ঘন্টায় যদি কোন পোনা মারা না যায় তাহলে বুঝবেন পুকুরটি মাছ ছাড়ার জন্য প্রস্তত।

যাদের পুকুরে এয়ারেটর এবং বটমক্লিন পদ্ধতি চালু নেই, তাঁরা দয়াকরে কেউ অতিঘনত্বে মাছ চাষ করবেন না। যদি কোন ধরণের সমস্যা ছাড়া এবং রোগ-বালাই মুক্ত মাছ চাষ করতে চান, তাহলে পরিমিত ঘনত্বে মাছ চাষের কোন বিকল্প নেই।

পাশাপাশি ইনব্রিডিং মুক্ত উন্নতমানের পোনা সংগ্রহ করবেন, নিয়মিত চুন-লবন প্রয়োগ করবেন, সূষম খাবার খাওয়াবেন, দৈনিক মাছের পরিচর্যা করবেন, সপ্তাহে একবার পানির প্যারামিটার চেক করবেন। আর কোন সমস্যা হলে অবশ্যই মৎস্য অফিসার বা বিশেষজ্ঞ অথবা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিবেন। আশা করি শুরুর এ নিয়ম গুলো মেনে মাছ চাষ করলে সফল হতে পারবেন।

২০২০ সালের মাছ চাষের শুরুর প্রস্তুতিতে যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিরোনামের লেখাটি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন শিক্ষিত তরুণ মৎস্য চাষি ও উদ্যোক্তা সৈয়দ সরোয়ার।

আরও পড়ুন: লাভজনক কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা