আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতের ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, চিনিকলগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও আখের ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য কমানো হয়নি। একই সঙ্গে চিনি রফতানি বাড়াতে সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) ভর্তুকি দেয়া হবে।

ভারতীয় চিনি উৎপাদনকারীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) ৮৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও বিজনেস রেকর্ডার।

আরও পড়ুন: স্থিতিশীল গমের রফতানি মূল্য, কমেছে ভুট্টার

এদিকে, কৃষক আন্দোলনের মুখে উত্তাল ভারতের রাজধানী দিল্লি । আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম নতুন কৃষি আইনের আওতায় কোনো পণ্যের ন্যূনতম মূল্য কমিয়ে আনা কিংবা উঠিয়ে নেয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এমন মন্তব্য করেন।

ভারতের চিনি শিল্পে ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য ফেয়ার অ্যান্ড রিমিউনারেটিভ প্রাইস (এফআরপি) নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মৌসুমে এ দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সরকারের বেঁধে দেয়া এ দর মেনে আখচাষীরা মৌসুমজুড়ে চিনিকলগুলোর কাছে আখ বিক্রি করেন। এবারের মৌসুমে ভারতীয় আখচাষীদের জন্য এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিপ্রতি ৩১ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা)।

দেশটির চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ দাম কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের যুক্তি, বাজারে চিনির দামে উত্থান-পতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আখের এ ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তা না হলে চিনিকলগুলোর আর্থিক লোকসানের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তবে চলমান কৃষক আন্দোলনের মধ্যে চিনিকলগুলোর এমন দাবি নাকচ করে পীযূষ গয়াল বলেন, আখের ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য কমানো হয়নি।

আরও পড়ুন: করোনায় ধস নেমেছে ভিয়েতনামের চাল রফতানি

এ সময় তিনি আরো বলেন, অক্টোবরে ভারতে আখ ও চিনির ২০২০-২১ বিপণন মৌসুম শুরু হয়। এবারের মৌসুমে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি রুপি ভর্তুকি দেয়া হবে।

চিনি রফতানি বাড়াতে দেয়া হচ্ছে ভর্তুকি শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি