আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পাম ওয়েলের শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে চলতি মৌসুমে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল উৎপাদন কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভোজ্যতেলের বাজারে পড়তে পারে। ফলে পাম ওয়েলের বাজার আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এ বছরের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় চাষীরা উৎপাদন কমিয়ে দেন, যা পুরো বছরের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে উন্নত সার ব্যবহারের অভাবও উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ৪ কোটি ৪৭ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, বিদেশের বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ জৈব জ্বালানির চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ কারণে শিল্প খাতে পাম অয়েলের চাহিদা পূর্বাভাস বাড়িয়ে ১ কোটি ৫ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশে কমেছে পাম অয়েল মজুদ

চীনে ২৫ লাখ টন পাম অয়েল বিক্রি করবে ইন্দোনেশিয়া

ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে পাম অয়েলের বাজার

টালমাটাল পরিস্থিতি পাম ওয়েলে, অনিশ্চয়তায় নতুন বছর

২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ১৭ শতাংশ কমে ২ কোটি ২৩ লাখ টনে নেমেছে। পণ্যটি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত পলিসির কারণে রফতানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে রফতানি ২ কোটি ৯০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। শক্তিশালী চাহিদার পাশাপাশি দামের দিক থেকে অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় রফতানি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু উৎপাদন কমলে এ প্রত্যাশা পূরণ হবে না।

ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েলের ওপর থেকে রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর ডিএমও নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে। রফতানি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। এরই অংশ হিসেবে পাম অয়েলের রফতানি শুল্ক উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত চলতি মাসের শেষ নাগাদ কার্যকর থাকবে।

অন্যদিকে ফলন কমে যাওয়ায় সয়াবিন তেল উৎপাদন পূর্বাভাসও কমিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে দেশটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টন সয়াবিন তেল উৎপাদন হবে।

তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্য এবং তেলবীজ রফতানিসংক্রান্ত চুক্তি চার মাসের জন্য সম্প্রসারিত হওয়ায় এতে ভারসাম্য আসতে পারে বলেও সম্ভাবনা দেখছেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ