পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মুরগির কুচে হলে অন্য মুরগির ডিম পাড়া জায়গা দখল করে বসে থাকে। এ সময়ে ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ডিমের উৎপাদন অনেকটা কমে যায়।দেখা যাক মুরগির কুচে সরানোর কয়েকটি উপায়।

কুচে হওয়া
ডিম পাড়া মুরগির খুবই পরিচিত সমস্যা এ কুচে লাগা। একটা নির্দিষ্ট সময় ডিম দেয়ার পর সেই মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়।

ব্রুডি হেন (কুচে মুরগি) ডিম দেয় না কিন্তু সে তার জায়গা ধরে রাখে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ফলে অন্য মুরগির ডিম পাড়ার জায়গা দখল করে থাকে। কুচে মুরগি খুব আক্রমণাত্মক রূপ ধারণ করে এবং তাকে তার জায়গা হতে সরানো কষ্টকর।

কুচে হওয়া মুরগির সমাধান

১. তাকে আলাদ করে রাখতে হবে।
২. ডিম পাড়া মুরগির সামনে বেশি ডিম একসঙ্গে না রাখা। তার ফলে কুচে হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৩. কুচে লেগে বসে থাকা মুরগিকে বসে থাকতে না দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানো। এটাও খুব সাধারণ ফলপ্রসূ নিয়ম।
উপযুক্ত খাবার সরবরাহ করা।

ডিমপাড়া মুরগির ডিম খাওয়া রোধে করণীয়

বেশিরভাগ খামারি অভিযোগ করেন- ডিমপাড়া মুরগি ডিম খেয়ে ফেলছে। বিশেষ করে ডিমপাড়া লেয়ার মুরগির একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস হলো নিজের ডিম নিজে খাওয়া। ডিমপাড়া মুরগির ডিম খাওয়া রোধে করণীয়।

যেসব কারণ আছে ডিম খাওয়ার পেছনে-

দীর্ঘক্ষণ ডিম খাঁচায় রাখা।
যদি কোনো কারণে একবার ডিম ভেঙে যায় এবং সেই ডিম যদি মুরগি খেয়ে স্বাদ পায় তাহলে পরে সে নিজের ভালো ডিম খেতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
ডিমের খোলস যদি খুব পাতলা হয়। রক্ত বা ভেজা ভেজা অবস্থার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
মুরগির খাবারে যদি প্রোটিনের অভাব হয়।

ডিমপাড়া মুরগির ডিম খাওয়া রোধে করণীয়:

১. মুরগিকে পরিমিত সব উপাদান দেয়া প্রয়োজন,
২. যত দ্রুত সম্ভব মুরগির ডিম অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে,
৩. মুরগির ঠোঁট কেটে দিতে হবে।
৪. মুরগির খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের সরবরাহ বাড়াতে হবে। ক্যালসিয়াম ডিমের সেল গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫. মুরগির ডিম পাড়ার জায়গা তুলনামূলক ঢালু করে রাখতে হবে। এতে ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিচে চলে আসে।
৬. ডিম পাড়া স্থানে তুলনামূলক অন্ধকার হলেও এ অভ্যাসের প্রকোপ কমে।
৭. ডিম সংগ্রহের বিরতি কমাতে হবে।

ডিমপাড়া মুরগির ডিম খাওয়া রোধে করণীয়  এবং মুরগির কুচে সরানোর কয়েকটি উপায় লেখাগুলো কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে। লিখেছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদ, ৪র্থ বর্ষ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ