মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে চিংড়ির শতকরা ৮০ ভাগ বাগদা এবং ২০ ভাগ মিঠা পানির গলদা। বাগদা চিংড়ি হোয়াইট স্পট বা চাইনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।বাগদা ও গলদা চিংড়ির রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ জানা থাকলে সহজেই প্রতিকার করা যায়।

চিংড়ি রোগের সাধারণ লক্ষণ:

১. চিংড়ি পুকুরের পাড়ের কাছে বিচ্ছিন্ন ও অলস অবস্থায় ঘোরা ফেরা করলে।
২. খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিলে বা একেবারে বন্ধ করলে, খাদ্য নালী শূন্য থাকলে।
৩. ফুলকায় কালো বা হলদে দাগ পড়বে বা অস্বাভাবিক রং দেখা দিলে।
৪. ফুলকা পঁচন ধরলে।
৫. পেশী সাদা বা হলদে হয়ে গেলে।
৬. চিংড়ির ‘খোলস’ নরম হয়ে গেলে
৭. হাত পা বা মাথার উপাঙ্গ ও গেতে পঁচন ধরলে।
৮. চিংড়ির খোলস এবং মাথায় সাদা সাদা দাগ হলে।
৯. চিংড়ি হঠাৎ বা ধীরে ধীরে মরে গেলে।

আরোও পড়ুন: সম্পূরক খাদ্যে মাইকোটক্সিন : মাছ বা চিংড়ি চাষের নিরব ঝুঁকি

বাগদা চিংড়ির রোগ: নেক্রোটাইজিং হেপাটোপ্যানক্রিয়াটাইটিস বা NHP

সর্তকতা ও রোগ ব্যবস্থাপনা:
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
১.চিংড়ি ঘেরের আকার ছোট করুন ও থঘরে আলাদা নার্সারীর ব্যবস্থা করুন।
২.পোনা মজুদহার একর প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজারের মধ্যে রাখুন।
৩.ঘের ভূক্ত আলাদা নাসারীতে চিংড়ি পোনা ২-৩ সপ্তাহ প্রতিপালনের পর চাষের ঘেরে নালা কেটে বের করে দিন।
৪.প্রস্তুত কালীন সময়ে পরিমিত চুন (কমপক্ষে শতাংশে ১ কেজি) প্রয়োগ করুন।

আরও পড়ুন: মাছের লেজ পঁচা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

৫.চাষকালীন সময়ে পানি পরিবতনের পরপরই প্রতি শতাংশে ৫০-১০০ গ্রাম কার্বনেট চুন প্রয়োগ করে পানি শোধন করুন।
৬.ঘেরের পানির গভীরতা কম পক্ষে ৩-৪ ফুট রাখুন।
৭. ১৫ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর ঘেরের বজ্য পানি বের করে নতুর পানি ঢুকানোর ব্যবস্থা করুন।
৮.রাক্ষুসে মাছ, কাকরা ও অন্যান্য চিংড়ি ভূক প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করুন।
৯.খামার জলজ আগাছা মুক্ত রাখুন ও বাঁশের কনচি গাছের শুকনা ডালপালা দিয়ে আশ্রয় করে দিন।

বাগদা ও গলদা চিংড়ির রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ